যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়া এবং ১৮৪টি দেশ ও অঞ্চলের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক মন্দা দেখা দিয়েছে। শুল্ক হিসাব করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ চীন। তবে রপ্তানির তথ্য বলছে, ট্রাম্পের এমন শুল্কের পরও চীনের অর্থনীতি নতুন বার্তা দিচ্ছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এপ্রিলে তাদের রপ্তানি বেড়েছে।
চীনের পক্ষ থেকে এমন সময়ে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে আলোচনার প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া শুল্কনীতি মোকাবিলার প্রস্তুতিও চলছে সমানতালে। যদিও গতকাল ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি চীনের ওপর আরোপ করা শুল্ক কমাবেন। গতকালের এই ঘোষণার আগপর্যন্ত চীনের পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ ছিল ২৪৫ শতাংশ। আর পাল্টা চীন দেশটির পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।
তবে গতকাল চীন জানিয়েছে, এপ্রিলে তাদের রপ্তানি ৮ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক তথ্য বিশ্লেষণী সংস্থা ব্লুমবার্গের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সময়ে চীনের রপ্তানি বেড়েছে ২ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমেছে
চীনের সার্বিক রপ্তানি বাড়লেও কমেছে যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন মুলুকে চীনের রপ্তানি কমেছে ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ। গতকাল শুক্রবার এই তথ্য পাওয়া গেছে চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের পক্ষ থেকে। প্রতিষ্ঠানটি গতকাল জানিয়েছে, এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের পণ্য ঢুকেছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের। এর আগের মাস অর্থাৎ মার্চে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪ হাজার কোটি ডলার।