মাঠে আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্তে অসন্তোষ। এরপর শুনানিতে ডাকা হলেও না যাওয়া। এক ডিমেরিট পয়েন্টের সঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে তার। কিন্তু দুই অপরাধের পর এবার বড় শাস্তিই মিলল মোহামেডান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের। চার ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হচ্ছে তার। এরমধ্যে একটি অবশ্য ভোগ করেছেন তিনি। বাকি তিনটি ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা এখন ভোগ করতে হবে চলতি মৌসুম ও পরের মৌসুমে।
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে আবাহনীর মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান। সেই ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গ মাঠে বাকবিতাণ্ড, সংবাদমাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য–সবমিলিয়ে ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট ও ৮০ হাজার টাকা জরিমানার মুখে পড়েছিলেন হৃদয়। এক ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকার পর আবেদন করে শাস্তি কমিয়ে পরের ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এরপরই বিতর্কের শুরু।
শাস্তি কমানোর পর সেটা কোন নিয়মে হলো তা জানতো না কেউ। আবার শাস্তি চলে যায় পরের বছর। সেটা নিয়ে যখন আপত্তি তখন গাজী গ্রুপের বিপক্ষে নিষেধাজ্ঞায় খেলতে না পরার কথাও শোনা যায়। শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটারদের চাপে সেটাও স্থগিত হয়। হৃদয় গাজী গ্রুপের বিপক্ষে দলকে জিতিয়ে শিরোপার দৌড়েও টিকিয়ে রাখলেন। কিন্তু এই ম্যাচে তার আবার আম্পায়ারের সঙ্গে সমস্যা বাধে। নিজের আউটের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। মাঠে বিরক্তি প্রকাশ করেন। সেটা আমলে নেয় ফিল্ড আম্পায়ার। এরপর ম্যাচ শেষে শুনানিতে ডাকা হলেও সেখানে আর উপস্থিতি ছিলেন না। এতে এক ডিমেরিট ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হয় তার। এই শাস্তির বিরুদ্ধে নেই আপিলের সুযোগও।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৮ ডিমেরিট হওয়াতে নিয়ম অনুযায়ী ৪ ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে হৃদয়ের। এতে করে আবাহনীর বিপক্ষে শিরোধা নির্ধারণী ম্যাচে খেলা হচ্ছে না হৃদয়ের। পরের মৌসুমেও প্রথম দুই ম্যাচে থাকতে হবে একাদশের বাইরেই।