ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে নিজের প্রথম মৌসুমেই রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে দারুণ এক অর্জন গড়লেন। শনিবার কোপা দেল রে ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে গোল করে এমবাপ্পে ছাড়িয়ে গেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর অভিষেক মৌসুমের গোলসংখ্যা।
এই মৌসুমে সব মিলিয়ে এমবাপ্পের গোলসংখ্যা এখন ৩৪। এরমধ্যে তিনি গোল করেছেন চারটি ফাইনালে — উয়েফা সুপার কাপে আতালান্তার বিপক্ষে জয় (২-০), ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে পাচুকার বিপক্ষে (৩-০), স্প্যানিশ সুপারকাপে বার্সেলোনার বিপক্ষে হার (২-৫) এবং সর্বশেষ কোপা দেল রে ফাইনালে।
তুলনায়, রোনালদো ২০০৯-১০ মৌসুমে মাদ্রিদের হয়ে তার প্রথম মৌসুমে করেছিলেন ৩৩ গোল। একই সংখ্যক গোল করেছিলেন রুড ফন নিস্টেলরয়ও ২০০৬-০৭ মৌসুমে। তবে রিয়ালে অভিষেক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড এখনো ধরে রেখেছেন চিলির ইভান জামোরানো, যিনি ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে করেছিলেন ৩৭ গোল।
শনিবার বার্সার বিপক্ষে ফাইনালে এমবাপ্পে মূল একাদশে ছিলেন না, বেঞ্চে শুরু করেন অ্যাঙ্কেল ইনজুরির কারণে। তবে বিরতিতে বদলি হিসেবে নেমে গোলের দেখা পান ফরাসি তারকা।
প্যারিস সেন্ট জার্মেই থেকে ফ্রি ট্রান্সফারে যোগ দেওয়া এমবাপ্পে অনেকদিন ধরেই রিয়ালের প্রধান লক্ষ্য ছিলেন। ২৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড আগেই জানিয়েছিলেন, তার আইডল রোনালদোর সঙ্গে নিয়মিত কথা বলেন এবং পরামর্শ নেন।
এমবাপ্পে গত মাসে বলেছিলেন, যদি বড় কোনো ট্রফি জিততে না পারেন, তবে ব্যক্তিগত অর্জনের কোনো মূল্য থাকবে না। এখন রিয়ালের সামনে একমাত্র সম্ভাবনা বাকি আছে লা লিগা, যেখানে তারা বার্সেলোনার চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে।
রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন, এমবাপ্পে রোনালদোর মত কিংবদন্তি হওয়ার ‘সম্ভাবনা রাখেন’। যদিও রোনালদো রিয়ালে ৯ বছরে জিতেছিলেন ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ২টি লা লিগাসহ ১৬টি ট্রফি এবং করেছিলেন ৪৫০ গোল।
এ বছরের শুরুতে রোনালদো নিজেও মন্তব্য করেছিলেন, ‘মাদ্রিদকে এমবাপ্পের যত্ন নিতে হবে। ও একজন টপ প্লেয়ার। তবে সে সাধারণ ফরোয়ার্ড নয়, তাকে নিজের মত করেই খেলতে দিতে হবে।’