ইন্টার ও বার্সেলোনার মধ্যকার নাটকীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বিতর্কিত রেফারিংয়ের পর অবশেষে মুখ খুললেন পোলিশ রেফারি শিমোন মার্সিনিয়াক। স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার খেলোয়াড় ও কোচের অভিযোগের জবাবে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি।
মিশরের সংবাদমাধ্যম আল কায়রা নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্সিনিয়াক দাবি করেন, ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্ত — অতিরিক্ত সময়ে ইন্টার ডিফেন্ডার ফ্রান্সেসকো আচেরবির করা গোল — ছিল “সম্পূর্ণ বৈধ”। গোলটি ম্যাচকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যায়, যেখানে বার্সা শেষ পর্যন্ত ৪-৩ ব্যবধানে হেরে যায়।
তবে বার্সেলোনার জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের সমালোচনার জবাবে মার্সিনিয়াকের ভাষা আরও কঠিন। তিনি বলেন, ‘ওর মন্তব্য হাস্যকর। আমি এই ধরণের বোকা মন্তব্য নিয়ে কী বলবো? আমি তো কাউকে ক্ষতি করিনি।’
তবে বিতর্ক থেমে থাকেনি এখানেই। ম্যাচে বার্সেলোনার ডিফেন্ডার পাও কুবারসি আর্জেন্টাইন তারকা লাওতারো মার্টিনেজকে ফাউল করলে পেনাল্টি দেন মার্সিনিয়াক। সেটি থেকে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন হাকান চালহানওগ্লু। এই সিদ্ধান্ত নিয়েও সরব হয়েছেন সাবেক আর্সেনাল কোচ ও বর্তমানে ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্টের প্রধান আরসেন ওয়েঙ্গার।
ওয়েঙ্গার সাফ বলেন, ‘লাওতারো নিজের পা বাড়িয়ে পেনাল্টি আদায় করেছে। ও জানতো গোল করতে পারবে না, তাই কুবারসির দিকে হেলে পড়ে ফাউল আদায় করেছে। এই সিদ্ধান্তের আমি ঘোর বিরোধী।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি স্লো মোশনে ভিএআর ব্যবহার করায়ও একেবারেই রাজি নই। কুবারসি আগে বল স্পর্শ করেছে, সেটাই মুখ্য। লাউতারো পরে হেলেছে — এটাই সত্যি।’
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিচালনা করা অভিজ্ঞ রেফারি মার্সিনিয়াক এই বিতর্ক সত্ত্বেও জানিয়ে দিয়েছেন, উয়েফা যদি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ তোলে, তাহলে তিনি “সবকিছুর জন্য প্রস্তুত”।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে আরেকটি বিতর্কিত রাতের পর ফুটবলবিশ্ব এখন অপেক্ষা করছে — উয়েফা আদৌ কোনো পদক্ষেপ নেয় কি না। আর বার্সেলোনা? তারা এখনও মনে করে, ফাইনালে ওঠার লড়াইটা শেষ হয়নি মাঠে, বরং শুরু হতে যাচ্ছে প্রশাসনিক অঙ্গনে।