জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সোমবার (১৯ মে) একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে কতিপয় স্থানীয় সন্ত্রাসী একটি কারখানায় চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে পরবর্তী সময়ে কারখানার কর্মকর্তাদের মারধর করে। এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে।
ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্ট কারখানার পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাস দমন এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে বাংলাদেশ পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে। শিল্পাঞ্চল ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বেজা ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনও দল নেই। তারা সমাজ ও অর্থনীতির শত্রু। দেশের সব রাজনৈতিক দলকে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে এবং সহযোগিতা করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এসব কার্যকলাপ সমর্থন করেন না। তাদের ইতিবাচক ভূমিকা ছাড়া দেশে টেকসই বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে চাই, এই ধরনের অপরাধ দমন এবং ভবিষ্যতে প্রতিরোধে সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিক ও প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চালিকাশক্তি হিসেবে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ছে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শুধু বিনিয়োগের পরিবেশ নষ্ট করে না, বরং দেশের ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।