দেশজুড়ে চলছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আজ শনিবার (১০ মে) এর তীব্রতা আরও বেড়েছে। রাজধানী ঢাকায় আজ রেকর্ড হয়েছে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। প্রচণ্ড গরমে জনজীবন হয়ে উঠেছে অতিষ্ঠ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানালেন, বর্তমানে দেশের প্রায় সব অঞ্চলই তাপপ্রবাহের আওতায় রয়েছে। শুধু সিলেট জেলা আপাতত এর বাইরে। রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ, যেখানে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে।
তাঁর ভাষায়, “১০ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত এই গরম একইরকম থাকতে পারে। ১২ তারিখের পর উত্তরাঞ্চল রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং ঢাকার কিছু অংশে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে আসতে পারে। তবে খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রামের তাপপ্রবাহ কমতে আরও সময় লাগবে।”
তিনি আরও জানান, “১৪ থেকে ১৫ মে’র দিকে অনেক জেলাই তাপপ্রবাহমুক্ত হতে পারে। তবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের কিছু অংশে তখনও গরম অনুভূত হবে। ১৮ থেকে ১৯ তারিখ নাগাদ দেশের বেশিরভাগ জায়গায় তাপপ্রবাহ কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১২ মে থেকে দেশের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, রংপুর ও ঢাকার পূর্বাংশে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ধীরে ধীরে বাড়বে এবং ১৮–১৯ মে’র দিকে দেশের অনেক অংশেই স্বস্তি ফিরতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সাধারণত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসকে তাপপ্রবাহের মৌসুম ধরা হয়। তবে বর্ষাকালে (জুন-সেপ্টেম্বর) যদি বৃষ্টি না হয়, সেক্ষেত্রে ওই সময়েও তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
এ বছরের এপ্রিল মাসে বৃষ্টিপাতের কারণে উল্লেখযোগ্য তাপপ্রবাহ না থাকলেও মে মাসের শুরু থেকে দেশের প্রায় সব জেলাতেই গরম বেড়েছে। এর আগে মার্চে কিছুদিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে এপ্রিল মাস ছিল তুলনামূলক সহনীয়।
তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়ায় ‘অনুভব তাপমাত্রা’ও (feels like temperature) বেশি লাগছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। মেঘ ও আর্দ্রতার তারতম্যের কারণে এই অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে উঠছে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই সময়ে বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করা, পানি পান বাড়ানো এবং অতিরিক্ত গরমে কাজ না করাই ভালো।
সূত্র:https://tinyurl.com/59fza7tc