তবে ডিসেম্বর–ভিত্তিক নিট রিজার্ভ ছিল ১৬ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। চলতি মার্চেও নিট রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। মার্চ শেষে প্রকৃত রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ১৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার, সেখানে তা ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন মনে করেন, চতুর্থ কিস্তির অর্থ পেতে কোনো সমস্যা হবে না বাংলাদেশের। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, দুইবার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে এমন জায়গায় নামিয়ে আনা হয়েছে যে এখন আর তা অর্জন করতে কষ্ট হবে না। প্রবাসী আয়ের প্রবাহ (রেমিট্যান্স) ভালো। ফলে কিস্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে রিজার্ভ সংরক্ষণের শর্ত কোনো বাধা হিসেবে আসবে না।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকসহ বেশ কিছু ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বদল হয়েছে। রেপো হার ৯ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ। খেলাপি হওয়ার নিয়মটিও ২০১৯ সালের আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর আর্থিক খাত সংস্কারে নানা পদক্ষেপ তো আছেই। আশা করছি, এসব ব্যাপারে আইএমএফের কাছ থেকে সরকার বাহবা পাবে।’