আফতাবের মা মিনু আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে মা আসছি বলে দুপুরের দিকে বেরিয়ে যান। এখন তাঁর ছেলে কথা বলছেন না। তাঁকে আর মা ডাকবেন না। বাসায় গিয়ে মা কোথায়, জানতে চাইবেন না। এসব কথা বলার সময় মিনু আক্তার বারবার বুকে হাত চাপড়িয়ে আহাজারি করতে থাকেন। ওই সময় তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন স্বজনেরা।
স্ত্রী মিনু আক্তারে পাশেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মুসা। ছেলের রক্তাক্ত লাশ দেখে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে এলে বলতে থাকেন, ‘আমার ছেলেকে কেন মেরেছে। যারা মেরেছে তাদের ফাঁসি চাই।’
নিহত আফতাবের ছোট ভাই মো. তানভীর প্রথম আলোকে বলেন, সন্ত্রাসী সাজ্জাদের বিরুদ্ধে তাঁর ভাই ফেসবুকে লেখালেখি করতেন। সাজ্জাদ কথায় কথায় এলাকায় গুলি করতেন। ইট, বালুর ব্যবসা করায় ভাইয়ের কাছে চাঁদাও চেয়েছেন। এই কারণে আদালতে জিডিও করেন দুই মাস আগে।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আবদুল মান্নান মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, সন্ত্রাসী সাজ্জাদই গুলি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।