স্কোর: বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫ ওভারে ১১২/৬, (জাকের ০*, মিরাজ ০*; সাদমান ১, মুমিনুল ০, শান্ত ২৩, মুশফিক ৩৩, জয় ৪০, লিটন ৭ )
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৮৮.৪ ওভারে ৩০৮/১০, লিড ২০২ (রাবাদা ২*; মারক্রাম ৬, স্টাবস ২৩, বেডিংহ্যাম ১১, ডি জর্জি ৩০, ব্রিটজকে ০, রিকেলটন ২৭, মুল্ডার ৫৪, মহারাজ ০, পিয়েট ৩২, ভেরেইন ১১৪)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৪০.১ ওভারে ১০৬/১০ (হাসান ৪*; সাদমান ০, মুমিনুল ৪, শান্ত ৭, মুশফিক ১১, লিটন ১, মিরাজ ১৩, জয় ৩৩, জাকের ২, নাঈম ৮, তাইজুল ১৬)
একই ওভারে দুই সেট ব্যাটার জয়, মুশফিকের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তখন অনেক কিছু নির্ভর করছিল অভিজ্ঞ লিটন দাসের ওপর। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। ৩৪.৫ ওভারে কেশভ মহারাজের বলে গ্লাভসবন্দি হয়ে ফিরেছেন মাত্র ৭ রানে। অবশ্য রিভিউ নিয়েই প্রোটিয়ারা লিটনকে ফেরাতে পেরেছে। শুরুতে মহারাজের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। শেষ মুহূর্তে প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম রিভিউ নিলে মেলে সাফল্য। তখন দেখা যায় লিটন ডিফেন্ড করতে গেলে মহারাজের বল লিটনের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়েছে ভেরেইনের হাতে।
দিনের শুরুতেই রাবাদার আঘাতে ফিরলেন জয়, মুশফিক
গতকাল তৃতীয় ওভারেই জোড়া আঘাতে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেছিলেন কাগিসো রাবাদা। তৃতীয় দিনের শুরুতেও একইভাবে আঘাত হানলেন তিনি। ভেঙেছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিমের প্রতিরোধ। তৃতীয় দিন নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই জয়কে ৪০ রানে প্রথম স্লিপে ক্যাচ বানিয়েছেন। তাতে ভাঙে ৪৬ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। এক বল পর দারুণ ডেলিভারিতে মুশফিকুর রহিমের প্রতিরোধও ভাঙেন তিনি। তাতে দিনের শুরুতে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে স্বাগতিক দল।
আলোর স্বল্পতায় দ্বিতীয় দিন খেলা শেষ হয়েছে আগেভাগে। তার আগে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ১০১ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করে। দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১০১ রান। এই রান নিয়েই তৃতীয় দিন ভালো কিছুর আশায় মাঠে নেমেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয় (৩৮) ও মুশফিকুর রহিম (৩১)।
৪ রানে দ্রুত ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তুলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়। শান্তর বিদায়ে ভাঙে ৫৫ রানের দারুণ জুটি। শান্ত-জয়ের জুটি ভাঙার পর মুশফিকুর রহিম আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়েছেন। তার ব্যাটে রান উঠে দ্রুত। গতকাল আবার টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৬ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন মুশফিক।