কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ চলাকালে পড়াশোনা কম জানায় নারী প্রশিক্ষণার্থীকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে কৃষি কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে কালবেলায় ‘পড়াশোনা কম জানায় প্রশিক্ষণার্থী নারীকে অপদস্থ করলেন কৃষি কর্মকর্তা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ভুক্তভোগী নারীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সেই কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভুক্তভোগী নারী জহুরা খাতুনের কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী নিজেই।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে গিয়ে আমার উপসহকারী ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। এ ছাড়া তাকে যাতায়াতের ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী জহুরা খাতুন কালবেলাকে বলেন, আঙ্গুরসহ দুজন উপসহকারী আমার বাড়িতে এসে ওই ঘটনার বিষয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। পরে আমাকে রোপণের জন্য দুই কেজি আদা ও যাতায়াতের ভাড়া দিয়েছেন। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ করাবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনার বিষয়ে আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। তারা যেন আমার মতো আর কাউকে যেন অপদস্থ ও লাঞ্ছিত না করেন।
গত রোববার কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ চলাকালে পড়াশোনা কম জানায় জহুরা খাতুন নামের এক নারী প্রশিক্ষণার্থীকে কক্ষ থেকে বের করে দেন কৃষি কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম চৌধুরী।
রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সম্মেলন রুমে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের পূর্ব ধনারচর গ্রামের মৃত সোনা উল্লাহর স্ত্রী।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এসএসিপি রেইঞ্জ প্রকল্পের আওতায় নারী কৃষাণীদের শাক-সবজি, গবাদিপশু পালন বিষয়ে চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে ভুক্তভোগী জহুরা খাতুনও অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু পড়াশোনা কম জানায় তাকেসহ আরও চারজনকে প্রশিক্ষণ সম্মেলন কক্ষ থেকে বের করে দেন ওই কৃষি কর্মকর্তা।