পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কারাগারে আটক বিডিআর সদস্যদের মুক্তি চেয়ে আদালতে মানববন্ধন করেছেন স্বজনেরা। এ সময় আসামিপক্ষে আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ এলাকায় এ মানববন্ধন করেন তারা।
বিডিআর সদস্যদের মুক্তির জন্য তাদের পরিবারের সদস্যরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত স্বজনেরা বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সরকারের নীল ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিনা বিচারে ১৬ বছর যাবত নিরাপরাধ বিডিআর সদস্যদের কারাবন্দি করে রেখেছে। তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
স্বজনদের অভিযোগ, বিগত ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সরকারের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতায় থাকার নীল নকশার অন্যতম অংশ এবং প্রথম গণহত্যা ছিল পিলখানা হত্যাকাণ্ড। যার দায় চাপানো হয়েছে নিরাপরাধ, নিরীহ বিডিআর সদস্যদের ওপর। যার ফলে ভিখারি হয়েছে হাজারও পরিবার। এছাড়া হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস প্রাপ্ত এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষ হয়েছে ৫০০ নিরাপরাধ বিডিআর সদস্যদের।
শুধুমাত্র ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সরকারের নাটকীয়, প্রহসনমূলক, বিস্ফোরক মামলার কারণে ১৬ বছর যাবৎ বিনা বিচারে কারাগারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। কারাগারে ৫৬ জন নিরাপরাধ বিডিআর সদস্য বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন এবং বর্তমানে অনেকেই বার্ধক্যজনিত শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় কারাগারে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুই দিনে তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বিজিবি সদর দফতর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে।