যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এলিমেন্ট সরকার বড় কোম্পানিগুলোকে নিরাপদে বার্তা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার বিনিময়ে মাশুল আদায় করে। গ্রাহকেরা এলিমেন্টের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঠিক, কিন্তু ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে তা পরিচালনা করে। ১০ বছর বয়সী প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে লাখ লাখ ডলার আয় করছে। কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠাতা ম্যাথিউ হজসন জানিয়েছেন, কোম্পানিটি মুনাফা করার কাছাকাছি চলে গেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, মেসেজিং অ্যাপগুলোর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসায়িক মডেল এখনো সেই পুরোনো ডিজিটাল বিজ্ঞাপন মডেল।
ম্যাথিউ হজসন আরও বলেন, মূলত [বেশির ভাগ মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম] বিজ্ঞাপন বিক্রি করে মানুষের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে; মানুষ কার সঙ্গে কথা বলে বা কী করে, এরপর তাদের জন্য প্রযোজ্য বিজ্ঞাপনগুলো পাঠায়।
এনক্রিপশন বা গোপনীয়তা বজায় থাকলেও এটা সম্ভব। কারণ, মানুষ কী বার্তা আদান-প্রদান করছে, তা সরাসরি না দেখলেও তাদের সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব। এই তথ্য ব্যবহার করে তারা বিজ্ঞাপনের ব্যবসা করে।
হজনস আরও বলেন, সেই পুরোনো গল্প-গ্রাহক যদি বিনা মূল্যে এসব অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাহলে সম্ভাবনা আছে, গ্রাহক নিজেই পণ্য হয়ে যাবেন।