দুটি এজেন্ডার বিষয়ে আগামীকাল থেকে বিস্তারিত আলাপ–আলোচনা করার কথা জানান বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অধস্তন আদালতের মামলা-মোকদ্দমা নিষ্পত্তি কীভাবে ত্বরান্বিত করা যায়, খরচ কীভাবে কমানো যায় এবং মামলার ব্যয় কীভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করব। সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের ব্যাপারেও আমরা চেষ্টা করব একটি নিয়মনীতি সুপারিশ করার।’
মূলত দুই এজেন্ডা নিয়েই কি কমিশন সামনে এগোবে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেন, ‘আপাতত প্রাথমিকভাবে। কারণ হলো, এটিই এখন আপনাদের প্রত্যাশা।’ মামলাজট নিরসনের বিষয়টি থাকবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আসবে। এজেন্ডার মধ্যে মামলাজট সম্পর্কে কথা আছে। তবে প্রায়োরিটিতে নিচে আছে।’
কমিশনের কর্মপরিধি ও রূপরেখা নির্ধারণ করেছেন কি না—এমন প্রশ্নে কমিশনের সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, ‘কমিশনের বিবেচ্য বিষয়গুলো ইস্যু বা এজেন্ডা—এগুলো আইডেনটিফাই (চিহ্নিত) করেছি, প্রাথমিকভাবে। দুটি ইস্যুর কথা চেয়ারম্যান বলেছেন। আরও ইস্যু আছে। এজেন্ডা কী হতে পারে, সে ইন্ডিকেশন (ইঙ্গিত) কমিশন গঠনের যে নোটিফিকেশনে বলে দেওয়া আছে। সেটি হচ্ছে স্বাধীন নিরপেক্ষ ও কার্যকর বিচারব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল এবং ব্যাপক। তবে এখানে খুব সংক্ষেপে হলেও আউটলাইন দেওয়া আছে, বিস্তারিত নেই। এর আলোকেই আমরা চেষ্টা করছি।’