নির্যাতনের এ সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পরিবেশেই শুধু বিঘ্ন ঘটায়নি, দিয়েছে ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের এক আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তা।
অতীতের এসব নির্যাতনের বিচার ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভয়হীন একটা নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জন্য ‘সোচ্চার’ ১০ দফা সুপারিশ দিয়েছে:
১. সরকারি কমিশন গঠন করে তদন্ত: ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের ঘটনাগুলো নিয়ে সরকারি কমিশন গঠন করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করা।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি ও প্রাতিষ্ঠানিক শাস্তি: রাষ্ট্রীয় আইনানুগ প্রক্রিয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তদন্ত কমিটি গঠন করে জড়িত ছাত্র ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক শাস্তি নিশ্চিত করা।
৩. ভিকটিম সাপোর্ট সেল গঠন: একটি স্থায়ী ভিকটিম সাপোর্ট সেল গঠন করা, যেখানে কোনো শিক্ষার্থী শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হলে অভিযোগ করতে পারবে।
৪. প্রথম বর্ষের ছাত্রদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাবলয়: প্রথম বর্ষের ছাত্ররা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে এবং নির্যাতনের প্রধান লক্ষ্য হয়। তাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের জন্য আলাদা হল নির্মাণ করা, যেখানে শুধু প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা থাকবে এবং দ্বিতীয় বর্ষ থেকে অন্যান্য হলে স্থানান্তর করা হবে।
৫. ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির জন্য বিধিমালা: ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি পরিচালনার জন্য একটি কঠোর বিধিমালা প্রণয়ন করা উচিত, যাতে শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য না করা যায়।