রিফাতের বাবা হুমায়ুন তালুকদার বলেন, ‘গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রিফাতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই দিন বাপজানের লগে শেষ কথা হইছিল। তখন সাগরে ট্রলারডুবির কথা শুনি নাই। দুর্ঘটনার কথা শোনার পর থেকে রিফাতের কোনো খোঁজ পাই না। আশায় ছিলাম, হয়তো বেঁচে আছে। একটাই সন্তান আমার! সব শ্যাষ হয়ে গেল।’
একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বাক্রুদ্ধ রিফাতের মা শিল্পী বেগম। তিনি বলেন, ‘ওই ছেলে ছাড়া আমার যে আপন বলে আর কিচ্ছু নাই। আমার বাপজানকে তোমরা ফিরাইয়া দাও।’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভীন খানম বলেন, লিবিয়া থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশী ওই তরুণের মরদেহ সরকারি অর্থায়নে তাঁর পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ওই তরুণের মৃত্যু দুঃখজনক ঘটনা। তাঁরা ওই পরিবারের খোঁজখবর নিচ্ছেন। যদি কোনো সহযোগিতা চায়, প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা করবে।