তথ্য উপদেষ্টা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের সময় অনেক সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন। প্রেসক্লাবের অনেক সদস্য গণ-অভ্যুত্থানে সমর্থন জুগিয়েছেন। তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘সেই সময় আমরা শুনেছি আমাদের সংবাদ প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। সংবাদ সংগ্রহের কারণে মিডিয়া হাউসগুলোতে সাংবাদিকেরা নির্যাতিত হয়েছেন। এখনো সেই সাংবাদিকদের নানা প্রকার চাপের মধ্যে রাখা হয়েছে বলে জেনেছি। সে হাউসগুলোতে ফ্যাসিবাদের এজেন্টরা রয়ে গেছে। তাদের বিতাড়িত করতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা স্বাধীন গণমাধ্যমের কথা বলছি, সেই গণমাধ্যমের মধ্য থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিতাড়িত করে জনগণের সামনে চিহ্নিত করতে হবে। কারণ, আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই। ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এক জিনিস আর ফ্যাসিবাদের পক্ষে কথা বলা অন্য জিনিস। আবারও বলতে চাই, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করুন, কিন্তু জনগণের বিপক্ষে দাঁড়াবেন না, ছাত্র-জনতার রক্তের বিপক্ষে দাঁড়াবেন না।’
জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া প্রমুখ।