অবশ্য বঙ্গভবন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে প্রচার চালানো হয়েছে, তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার ওপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে, সেগুলোর উত্তর আপিল বিভাগের আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র না থাকার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর পদে থাকা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। সরকারের ভেতরেও এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহ্দীন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপতিকে ইমপিচ বা অভিশংসন করার ক্ষমতা একমাত্র জাতীয় সংসদের রয়েছে। এখন তো সংসদ নেই; কিন্তু এখন তো অনেক কিছু আইনের বাইরে হচ্ছে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে।
তবে শাহ্দীন মালিক মনে করেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সর্বোচ্চ আদালতের মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। ঘটনাগুলো ইতিমধ্যে ঘটে গেছে। ফলে পদত্যাগপত্রের দলিল নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করা হচ্ছে। এর কোনো প্রয়োজন নেই।