Homeরাজনীতিজনগণের ভোটাধিকার কবে দেবেন বলতে দ্বিধা কেন: গয়েশ্বর

জনগণের ভোটাধিকার কবে দেবেন বলতে দ্বিধা কেন: গয়েশ্বর


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জনগণ আপনাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু জনগণের ন্যায্য পাওনা ভোটাধিকার কবে দেবেন— এটা বলতে আপনাদের দ্বিধা কেন?  কী কারণে নির্বাচন কমিশন এখনও বহাল তবিয়তে বসে আছে? কী নির্বাচনি সংস্কার করবেন?  কাকে নিয়ে সংস্কার করবেন? সংস্কার করতে হলে আপনাকে রাজনীতিবিদদের পরামর্শ নিতে হবে।   

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে ‘শহীদ নাসিরউদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু ফাউন্ডেশনের’ উদ্যোগে আয়োজিত ‘রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে জালিম খুনি হাসিনা সরকার কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদ নাসিরউদ্দিন পিন্টুসহ সব শহীদের হত্যার বিচার চাই, করতে হবে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাবলেন। 

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘জানা- অজানা হাজারো মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে শুধুমাত্র একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। অন্যকিছুর জন্য বসানো হয়নি। নির্বাচনটা সঠিকভাবে হওয়ার দিকে নজর দেন। সে নির্বাচনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়। অন্য কেউ ক্ষমতায় আসলেও সমস্যা কোথায়। আপনাদের ঘাড়ে চেপে বসে আছে শেখ হাসিনার পরিত্যক্ত সব আমলা প্রেতাত্মারা। তারা দেশ চালাচ্ছে আর আপনারা সংস্কারের গল্প শুনিয়ে শুনিয়ে মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গিকে অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের পরিষ্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির জন্য নাসির উদ্দিন পিন্টু নিজের জীবন দিয়েছেন। তিনি অনেক সাহসী ছিলেন। পরিকল্পিতভাবে পিন্টুকে হত্যা করা হয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য পিন্টু জীবন দিয়েছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ড হলো একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের মূল হচ্ছে শেখ হাসিনা। আমরা পিন্টুর হত্যার বিচার চাই।’

সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ নামক দলকে আল্লাহ মৃত্যুর দরজায় নিয়ে গেছে। ক্ষমতার অহংকারে যে হাসিনা ও তার দলবল দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার করছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ভেতরে তাদেরকে আল্লাহ ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মিথ্যা মামলাগুলোর ব্যাপারে কোনও অগ্রগতি হচ্ছে না। শুধুমাত্র একটি গেজেটের মাধ্যমে ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর সব মামলা প্রত্যাহার করার সুযোগ রয়েছে। আশা করি, সরকার মামলাগুলো তুলে নেবে।’

 

 





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত