ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার এই গণঅভ্যুত্থান জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির সুনিপুণ ঐক্যের কারণেই সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক। তবে ‘চিহ্নিত একটি সিন্ডিকেট’ ঐক্য ঐক্য বলে রিউমার সৃষ্টি করছে অভিযোগ করেছেন তিনি।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ কে এম আশরাফুল হক বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছর পর এদেশের সাধারণ জনগণ দানবীয় একটি জবর দখলকারী সরকারের চরম দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছে। নতুনভাবে স্বাধীনতাকে অনুভব করেছে।’
বেশ কিছুদিন যাবত একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট ঐক্য ঐক্য বলে রিউমার সৃষ্টি করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারা মূলত সিন্ডিকেটেট ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। যা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যাবতীয় অর্জন নস্যাৎ করে দিতে পারে। সুতরাং পতিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদকে স্থায়ীভাবে প্রতিরোধ করতে হলে আমরা মনে করি জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প হতে পারে না।
এসময় তিনি কথিত সিন্ডিকেটেট ঐক্যের দাবি, পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মুফতি মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মাওলানা মুমিনুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী কমিটির এসময় আরও বক্তব্য দেন সহসভাপতি মাওলানা কবির আহমদ, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা যোবায়ের আহমদ নেজামী, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আল আমিন, কবি মাহফুজুল হক সুমন, সহকারী মহাসচিব মুফতি আলা উদ্দিন ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের সভাপতি হাফেজ জাবের হোসেন প্রমুখ। ভার্চুয়ালি সভায় অংশগ্রহণ করেন সিলেট থেকে মাওলানা নওফেল আহমদ, ময়মনসিংহ থেকে মুফতি ওবায়দুল্লাহ মাহমুদী ও নড়াইল থেকে মাওলানা মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।