[ad_1]
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের অভিযোগ, অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসি চেয়ারম্যান শেয়ারবাজার ধ্বংসের আজরাইল হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে আজ বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ শেয়ারবাজার ধ্বংস করতে আজরাইল হিসেবে এসেছেন। শেয়ারবাজারের স্বার্থে এদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে, যা হবে বিনিয়োগকারীদের জন্য ঈদ উপহার।’
ইকবাল হোসাইন আরও বলেন, ‘রাশেদ মাকসুদ বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনকে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল। যাতে আমরা এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারি। কিন্তু তিনি এবং অর্থ উপদেষ্টাই স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন।’
শেয়ারবাজারের স্বার্থে দ্রুত অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে বলে দাবি জানান ইকবাল হোসাইন। তিনি বলেন, এটা না করা হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে না এবং শেয়ারবাজার ধ্বংস হয়ে যাবে।
বিনিয়োগকারীদের এই নেতা যোগ করেন, ‘আর যদি ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার তাদের অপসারণ না করতে পারে, তাহলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এতে করেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন হবে এবং সালেহউদ্দিন ও মাকসুদকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার এমন এক তলানিতে চলে গেছে, যা বিশ্ব দরবারে কলঙ্কে পরিণত হয়েছে। এই কলঙ্ক কাটাতে শেয়ারবাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। টাকার কোনো সংকট এই বাজারে নেই। আস্থা ফিরলে টাকা উড়ে আসবে।
বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য অশ্বডিম্ব রাখা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ কারণে বাজেট ঘোষণার পরে শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। অথচ বাজেটকে শেয়ারবাজারবান্ধব বলে দালালি করছে বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসই। তারা হয়তো কোনো সুবিধার আশায় এই দালালি করছেন।
চূড়ান্ত বাজেটে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স বাতিল দাবি করেছে সংগঠনটি। এছাড়া শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ এবং ৫০ শতাংশের বেশি ক্যাপিটাল লস করা বিনিয়োগকারীদের আইসিবির মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা করার দাবি জানানো হয়।
[ad_2]
Source link