Homeঅর্থনীতিআইএমএফের ঋণের কিস্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে ৫ মে

আইএমএফের ঋণের কিস্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে ৫ মে

[ad_1]

এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি। কারণ তাদের অনেক শর্তেই আমরা রাজি হতে পারিনি। যেমন মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা। আমরা এখনই মুদ্রার বিনিময় হার উন্মুক্ত বাজারভিত্তিক করতে পারব না। নিয়ন্ত্রিতই রাখতে হচ্ছে। তবে আলোচনা এখনো চলছে। আমরা যেসব বিষয়ে একমত হতে পারিনি, আগামী ৫ মে তাদের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে সেগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তারা যদি আমাদের সিদ্ধান্তগুলো মেনে নিতে পারে, তবে চুক্তি হবে।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইআরএফ ও ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) এই সেমিনারের আয়োজন করে।

জানা যায়, ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের সদর দপ্তরে স্থবির তহবিল ছাড় নিয়ে উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনা কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির বিতরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। আইএমএফের পরবর্তী বোর্ড সভা জুন মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি এই বৈঠকে অংশ নেয়।

বৈঠকে ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সেমিনারে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এটা তো আমরাও চাই। ট্যাক্স জিডিপি না বাড়লে আমাদের ব্যয় মেটাব কী করে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সবকিছুর পরও আমি বলব আইএমএফর সঙ্গে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। অনেক ইস্যুতে আমাদের মতৈক্য হয়েছে। আমরা ঋণের বোঝা বাড়াতে চাই না। আয় বাড়িয়ে এবং ব্যয় কমিয়ে বাজেটের আকারকে বাস্তবভিত্তিক করা হবে আগামী অর্থবছরে।

অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা যদি বেশি পরিমাণ ঋণ করি, আমাদের খরচ যদি বড় করি এবং সেই খরচ যদি “গণি মিয়ার” মতো ঋণ করে হয়, তাহলে “গণি মিয়া” যে রকম সমস্যায় পড়বে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র নামক “গণি মিয়া”ও একই সমস্যায় পড়বে।’

আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্য থাকতে হবে। যাতে করে আমরা আমাদের ঋণের বোঝা না বাড়াই এবং পরবর্তী প্রজন্মের ওপরও ঋণের এ বোঝা না বাড়ে। “গণি মিয়া” বাংলাদেশে খুব সাধারণ ও পরিচিত একটি নাম, যা অধিকাংশ সময় রূপক বা উপমা হিসেবে ব্যবহার হয়। “গণি মিয়া” নামটি সাধারণত একজন দরিদ্র কৃষকের প্রতীক, যিনি সীমিত আয়ের মধ্যেও যদি অতিরিক্ত খরচ করেন এবং ধারদেনা করে সেই খরচ চালান।’

অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, এবারের বাজেটের আকার যেন যথাসম্ভব বাস্তবসম্মত হয়, খুব উচ্চাভিলাষী না হয়; প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টা সে নির্দেশনা দিয়েছেন।

ইআরএফ অডিটরিয়ামে ‘সামষ্টিক অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজস্ব ব্যবস্থা’ শীর্ষক ওই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর রিয়াজ। ফরেন চেম্বারের পক্ষে বক্তব্য দেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নুরুল কবির।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত