বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সোমবার (৫ মে) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল। তবে বাজার পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তনের কারণে মঙ্গলবার (৬ মে) আবারও বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম।
বাজুসের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৭ মে (বুধবার) থেকে ভরিপ্রতি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৮৬ টাকা, যা এর আগের দামের চেয়ে ৩ হাজার ৭০০ টাকা বেশি।
মঙ্গলবার (৬ মে) বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং স্থানীয়ভাবে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ায় দেশের বাজারে এ সমন্বয় করা হয়েছে।
বাজুস নির্ধারিত স্বর্ণের নতুন দাম (ভরিপ্রতি) ৭ মে থেকে কার্যকর হবে
২২ ক্যারেট: ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৮৬ টাকা
২১ ক্যারেট: ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৬ টাকা
১৮ ক্যারেট: ১লাখ ৪৩ হাজার ৩২১ টাকা
সনাতন পদ্ধতি: ১ লাখ ১৮ হাজার ৪২০ টাকা
রূপার দাম অপরিবর্তিত থাকবে
২২ ক্যারেট: ২ হাজার ৫৭৮ টাকা
২১ ক্যারেট: ২ হাজার ৪৪৯ টাকা
১৮ ক্যারেট: ২ হাজার ১১১ টাকা
সনাতন পদ্ধতি: ১ হাজার ৫৮৬ টাকা
হিসাবের ভিত্তি নতুন মূল্য নির্ধারণে প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে:
২২ ক্যারেট: ১৪,হাজার ৯৯৯ টাকা
২১ ক্যারেট: ১৪ হাজার ৩১৮ টাকা
১৮ ক্যারেট: ১২ হাজার ২৭২ টাকা
সনাতন: ১০ হাজার ১৫৬ টাকা
এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) অনুযায়ী এই নতুন দাম নির্ধারিত হয়েছে।
দামের সঙ্গে যুক্ত থাকবে ভ্যাট ও মজুরি
বাজুস জানিয়েছে, স্বর্ণ ও রৌপ্যের বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ হবে। গহনার ডিজাইন ও মান অনুযায়ী মজুরিতে কিছু তারতম্য হতে পারে।
স্বর্ণের দামের এই ঘন ঘন পরিবর্তন ক্রেতাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ এর পেছনে বৈশ্বিক অস্থিরতা ও বিনিয়োগের প্রবণতাকে দায়ী করছেন, আবার কেউ কেউ এই অস্থিরতাকে স্বর্ণের বাজারে কৃত্রিম চাপ বলেও মনে করছেন।