[ad_1]
রমজান উপলক্ষে মাছ দিয়ে তৈরি শিঙাড়া, সমুচা, রোলসহ ইফতার উপযোগী বিভিন্ন খাবার বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। আজ সোমবার বিকেলে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিএফডিসি ভবনের মৎস্য বিতানে বিক্রি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান।
বিএফডিসির তথ্য অনুসারে, রমজান উপলক্ষে মৎস্যজাত ইফতারির পণ্যের প্রদর্শনী ও প্রচলনের জন্য বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন ও সারা ফিশ প্রোডাক্টস লিমিটেড যৌথভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে মাছের তৈরি ১০ পদের ইফতারি পাওয়া যাবে। সেগুলো হলো ফিশ শিঙাড়া, লইট্টা ফ্রাই, ফিশ পুরি, ফিশ চানাচুর, চিংড়ি ফ্রাই, ফিশ সমুচা, মাছের ছোলা বুট, ফিশ রোল, ফিস হালিম ও ফিশ টিকিয়া। ২৫০ গ্রাম ওজনের ১০টি ফিশ শিঙাড়ার দাম ধরা হয়েছে ১৯৫ টাকা, ২৫০ গ্রাম ওজনের ১০টি চিংড়ি ফ্রাইয়ের দাম ধরা হয়েছে ১৯৫ টাকা। ২৫০ গ্রাম ওজনের ১০টি ফিশ রোলের দাম ধরা হয়েছে ১৯৫ টাকা। ২৫০ গ্রাম ওজনের ১০টি সমুচার দাম ঠিক করা হয়েছে ১৯৫ টাকা। ১৯৫ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ গ্রাম ওজনের ১০টি লইট্টা ফ্রাইয়ের।
কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিএফডিসি ভবনের মৎস্য বিতানে প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে ইফতারের সময় পর্যন্ত মৎস্যজাত ইফতারির পণ্য বিক্রি করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান বলেন, ‘সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনে মাছের প্রোটিনের বিকল্প নেই। মাছের প্রোটিন অত্যন্ত নিরাপদ আমিষ। আমরা চাই, মৎস্যজাত পণ্য আরও জনপ্রিয় হোক। পুরো রমজানে দেখব ক্রেতাদের সাড়া কেমন। ফলাফল ভালো পেলে সারা দেশে বড় পরিসরে উদ্যোগ নেব।’
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের যুগ্ম পরিচালক মো. মাসুদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানুষের রুচির পরিবর্তনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে মৎস্যজাত ইফতারি বিক্রির কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। পোলট্রি যেমন জনপ্রিয়, আমরা চাই মৎস্যজাত পণ্যও এমন জনপ্রিয় হোক। মানুষের খাবারের তালিকায় মৎস্য প্রোটিন (আমিষ) থাকুক।’
এর আগে গত বছরের মার্চ মাসে বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ বিপণন কার্যক্রম হাতে নিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, মোট ৪০ প্রজাতির মাছ রেডি টু কুক হিসেবে তিনটি স্থানে স্থায়ীভাবে বিপণন করা হবে।
[ad_2]
Source link