Homeঅর্থনীতিঋণের টাকায় সন্ত্রাসে মদদ? পাকিস্তান প্রসঙ্গে ভারতের উদ্বেগের জবাবে যা বলল আইএমএফ

ঋণের টাকায় সন্ত্রাসে মদদ? পাকিস্তান প্রসঙ্গে ভারতের উদ্বেগের জবাবে যা বলল আইএমএফ


পাকিস্তানকে আইএমএফের দেওয়া সাম্প্রতিক ঋণ সহায়তা ঘিরে চলছে কূটনৈতিক বিতর্ক। ভারত অভিযোগ তুলেছে, এই অর্থ সন্ত্রাসবাদে ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু ভারতের আপত্তি উপেক্ষা করেই পাকিস্তানকে বেইলআউট ঋণ দিয়েছে আইএমএফ। বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা ও বিতর্ক চলছে। এর মধ্যেই আইএমএফএ ভারতের নির্বাহী পরিচালক সুব্রামানিয়ামকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে মুখ খুলেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। তারা বলেছে, ঋণের অর্থ সরাসরি সরকারের হাতে যায় না—এটি রাখা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে। ফলে এই অর্থ জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের আশঙ্কা অমূলক।

গত ৯ মে পাকিস্তানের জন্য ১.১ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় করে আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড। এটি ছিল ৩ বিলিয়ন ডলারের স্ট্যান্ডবাই চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় কিস্তি। তবে এই সিদ্ধান্তে ভারত সন্তুষ্ট নয়।

নয়াদিল্লি মনে করে, পাকিস্তানের মদতে চলা সীমান্তপারের সন্ত্রাসে এই ঋণের অর্থ ব্যবহৃত হতে পারে। দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, পাকিস্তান অতীতেও আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সহায়তা অপব্যবহার করেছে। এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘পাকিস্তান সরকারের জবাবদিহি নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে আইএমএফের ঋণ যদি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর হাতে পৌঁছে যায়, সেটি শুধু ভারতের নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য হুমকি।’

আইএমএফের মুখপাত্র জুলি কোজ্যাক গত শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঋণের অর্থ সরাসরি সরকারের বাজেটে যায় না। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সংরক্ষিত থাকে।’ তিনি আরও জানান, ঋণ ছাড়ের আগে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংস্কার ও নির্ধারিত শর্ত পূরণ পর্যালোচনা করে তবেই ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আইএমএফের মতে, পাকিস্তান প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারে অগ্রগতি দেখিয়েছে। প্রাপ্ত অর্থ ব্যবহারে কড়াকড়ি নজরদারি ও ‘জিরো বরোইং ফ্রম সেন্ট্রাল ব্যাংক’ অর্থাৎ সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোন ঋণ নেবে না এই শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

সম্প্রতি পাক-ভারত সীমান্তে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বার মতো সংগঠনের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সহায়তা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হলে তা শুধু নিরাপত্তা নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকি।’

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পাকিস্তান অতীতে আইএমএফের ২২টি কর্মসূচির আওতায় ঋণ নিয়েও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত সংস্কার আনতে ব্যর্থ হয়েছে বলে ভারত সরকারের দাবি।

আইএমএফ জানিয়েছে, তাদের নির্বাহী বোর্ডে সিদ্ধান্তগুলো সাধারণত সর্বসম্মতির ভিত্তিতে নেওয়া হয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও ‘যথেষ্ট সমর্থন’ থাকায় ঋণ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কোন দেশ কীভাবে ভোট দিয়েছে, সে তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত