Homeঅর্থনীতিঋণ কিস্তি পেতে কঠোর সংস্কার গ্রহণ

ঋণ কিস্তি পেতে কঠোর সংস্কার গ্রহণ


আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে নতুন কিস্তির ঋণ পেতে ১১টি নতুন শর্ত মানতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। দেশটির অর্থনীতি বিপর্যস্ত অবস্থায় থাকায় ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের তহবিল পেতে এই কঠোর সংস্কারমুখী শর্তে রাজি হয়েছে ইসলামাবাদ।

আইএমএফের প্রতিবেদন, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বাজেট পাস থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার মতো জনসাধারণের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে—এমন পদক্ষেপ আইএমএফের ১১টি শর্তের মধ্যে রয়েছে।

নতুন অর্থবছরের বাজেট পাসে বড় শর্ত আরোপ করেছে আইএমএফ। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পাস করতে হবে, যেখানে সরকারি ব্যয় কমিয়ে উন্নয়নমূলক খাতে ব্যয় সীমিত রাখতে হবে। বাজেটে নির্ধারিত হয়েছে ১.০৭ ট্রিলিয়ন রুপির উন্নয়ন ব্যয় (এডিপি)। এছাড়া আইএমএফের যেসব শর্ত আলোচিত হয়েছে, সেগুলো হলো—

  • দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য নগদ সহায়তা: মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘কাফালাত’ নামে সরকার পরিচালিত নগদ সহায়তা কর্মসূচির পরিমাণ বাড়াতে হবে।
  • ২০২৭ সালের পরের আর্থিক নীতির রূপরেখা: সুদবিহীন আর্থিক ব্যবস্থায় রূপান্তরের ঘোষণার আলোকে ২০২৮ সালের পর পাকিস্তানের আর্থিক খাত কেমন হবে, সে বিষয়ে একটি রূপরেখা প্রকাশ করতে হবে।
  • বিদ্যুৎ খাতে পুনর্মূল্যায়ন: ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে বিদ্যুতের ইউনিটমূল্য পুনঃনির্ধারণ করতে হবে, যাতে উৎপাদন খরচ উঠে আসে।
  • গ্যাসের দাম বৃদ্ধি: গ্যাস খাতে অর্ধবার্ষিক হারে দাম সমন্বয় করে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। পরবর্তী মূল্যসংশোধন হতে হবে ২০২৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
  • ক্যাপটিভ পাওয়ার কর (সিপিএল) আইনে পরিণত করা: শিল্পখাতে গ্যাস ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে প্রণীত ক্যাপটিভ পাওয়ার লেভি নামের অধ্যাদেশকে মে মাসের মধ্যে সংসদে আইন হিসেবে পাস করতে হবে।
  • ঋণ পরিষেবা সারচার্জের সর্বোচ্চ সীমা তুলে নেওয়া: বিদ্যুৎ খাতে সঞ্চিত ঋণের বোঝা কমাতে ইউনিটপ্রতি ৩.২১ রুপির সর্বোচ্চ সারচার্জ তুলে দিতে হবে।
  • বিশেষ প্রযুক্তি অঞ্চলের সুবিধা হ্রাস: স্টার্টআপ ও প্রযুক্তি খাতের জন্য বিশেষ কর ছাড় ও ভর্তুকি ২০৩৫ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে তুলে নিতে হবে।
  • পুরোনো গাড়ি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: পাঁচ বছরের কম পুরোনো ব্যবহৃত গাড়ির আমদানিতে যে পরিমাণ নিষেধাজ্ঞা আছে, তা বাতিলে সংসদে একটি বিল জমা দিতে হবে জুলাইয়ের মধ্যে।
  • ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রসঙ্গে সতর্কতা: আইএমএফ সতর্ক করেছে, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সংস্কার পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে।

আইএমএফের এসব শর্ত বাস্তবায়নে পাকিস্তান সরকারকে চরম রাজনৈতিক ও জনসাধারণের চাপের মুখে পড়তে হবে। তবে ঋণের কিস্তি পেতে সরকার এসব শর্ত মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় দেখছে না।

আরও খবর পড়ুন:





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত