আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসা সম্প্রসারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)। সংগঠনটির সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, বাজেটে করজাল সম্প্রসারণের স্পষ্ট নির্দেশনা নেই, বরং করের হার বাড়ানোয় উদ্যোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হবে।
বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর গুলশানে সংগঠনটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট-পরবর্তী পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। সভায় সংগঠনের সাবেক সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় ও রূপালী হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
জাভেদ আখতার বলেন, ‘সরকার নিজেই বলেছে এটি প্রবৃদ্ধির বাজেট নয়। করের হার বাড়ানো হয়েছে, অথচ করজাল সম্প্রসারণের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এভাবে ব্যবসায়িক পরিবেশে আস্থা তৈরি হয় না। বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে হলে আগে নীতির ধারাবাহিকতা ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত তিনটি বাজেটেই বিদেশি কোম্পানিগুলোর ওপর করের চাপ বেড়েছে। এবারও কর ব্যয় বাড়বে।’
জাভেদ আখতার আরও বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে এখনও পাকিস্তানের তুলনায় বিদেশি বিনিয়োগ কম। এটা কেবল বাজেটের কারণে নয়, এর পেছনে আছে নীতির অনিশ্চয়তা, অনুমোদন প্রক্রিয়ার জটিলতা এবং ব্যবসার সহজীকরণে দীর্ঘসূত্রতা।’
সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি রূপালী হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে শিল্প খাতকে বারবার ধাক্কা দেওয়া হচ্ছে। অথচ বহু প্রতিষ্ঠান কর না দিয়ে ব্যবসা করছে। এনবিআরের প্রধান কাজ হওয়া উচিত ছিল, এসব প্রতিষ্ঠানকে করজালে আনা।’
নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘রাজস্ব প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ শতাংশ, কিন্তু এর ব্যাখ্যা নেই। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রায় ৩৯ শতাংশ রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে, যা করহার বাড়িয়ে সম্ভব নয়। বরং করহার কমিয়ে করজাল বাড়ানোই হতে পারে কার্যকর কৌশল।’
এফআইসিসিআই নেতারা মনে করেন, প্রস্তাবিত বাজেট কাঠামোতে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার এবং নীতির ধারাবাহিকতার ঘাটতি রয়েছে, যা ভবিষ্যতের বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।