Homeঅর্থনীতিএক লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয়করমুক্ত রাখার প্রস্তাব

এক লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয়করমুক্ত রাখার প্রস্তাব


পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়—এমন কোম্পানিগুলোর করপোরেট করহারে ন্যূনতম ১০ শতাংশ ব্যবধান রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। একই সঙ্গে, এক লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত রাখার দাবিও উত্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ মে) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ে এক বৈঠকে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অংশ নেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) শীর্ষ নির্বাহীরা।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। উপস্থিত ছিলেন— কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ, ডিএসই’র চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিএসই’র চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ডিএসই পরিচালক মিনহাজ মান্নান, শাকিল রিজভী ও রিচার্ড ডি রোজারিও, বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুন এবং আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ।

বৈঠক শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাজেটে পুঁজিবাজারবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাজার সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— মূলধনি মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহার, বিও হিসাবের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি মওকুফ, ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেনের ওপর অগ্রিম কর হ্রাস এবং ব্রোকারেজ হাউজের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের আয়ের ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি।

এছাড়া সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। অংশীজনদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং দীর্ঘমেয়াদে বাজার স্থিতিশীলতা অর্জন করবে।

বৈঠকে আইসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের ৮০ শতাংশই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হবে। বাকি ২০ শতাংশ সংরক্ষিত রাখা হবে নিরাপত্তা সঞ্চিতি হিসেবে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রতি মাসের শেষ বৃহস্পতিবার বিএসইসি ও বাজার অংশীজনদের মধ্যে নিয়মিত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে করে বাজার তদারকি ও নীতিনির্ধারণে অধিকতর কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত