Homeঅর্থনীতিএনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলমবিরতি চলবেই

এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলমবিরতি চলবেই


জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কলম বিরতি কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

এ সময় বক্তব্য দেন এনবিআরের অতিরিক্ত কমিশনার (কর) সেহেলা সিদ্দিকা, উপকমিশনার (কর) আয়েশা সিদ্দিকা, উপকমিশনার (কাস্টমস) সানজিদা খানম।

সানজিদা খানম বলেন, ‘আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, অর্থ উপদেষ্টা মহোদয় এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আলোচনায় বসবেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আমরা এখনও পর্যন্ত পাইনি। এমতাবস্থায়, আমাদের কর্মসূচি আগামীকাল একইভাবে ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী কোনো আপডেট থাকলে আমরা সকলকে জানিয়ে দেব।’

গত সোমবার (১২ মে) মধ্যরাতে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ করার বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৭ এপ্রিল উপদেষ্টা পরিষদে খসড়া অনুমোদনের ২৫ দিন পর এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

কোনো অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই মধ্যরাতে অধ্যাদেশ জারি করা বুধবার থেকে কলম বিরতি পালন করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এরই মধ্যেই আজ বেলা ২টার দিকে এনবিআরের জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, ‘আগামী মঙ্গলবার সাড়ে ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা মহোদয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে এনবিআর সংস্কার বিষয়ে এনবিআর কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবেন।’

এ বিষয়ে সেহেলা সিদ্দিকা বলেন, কেবল অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা নয়, সব উপদেষ্টার অংশগ্রহণে আলোচনা হতে হবে।

এনবিআরের এই অতিরিক্ত কর কমিশনার বলেন, ‘যেহেতু এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কোনো নেতৃত্ব নেই। প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করতে চাইলে আমরা প্রতিনিধি পাঠাব।’

অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআরকে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা—দুটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসলে এই পরিবর্তন মেনে নেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা বলেন, ‘এখন আর কোনো সংযোজন, পরিমার্জনের উপায় নেই। সম্পূর্ণভাবে অধ্যাদেশ বাতিল করতে হবে। আমরা নির্বাহী কমিটি বা ক্ষমতার অধীনে যেতে চাই না। স্বতন্ত্র এনবিআর চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে সেহেলা সিদ্দিকা বলেন, ‘রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কারের নামে এক শ বছরের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান এনবিআরকে বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছে কোনো কারণ ছাড়াই। যেখানে দেশের রাজস্ব এজেন্সিকে সংস্কারের মাধ্যমে শক্তিশালী করা প্রয়োজন, সেখানে এটিকে বিলুপ্ত করে রাজস্ব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে দুটি বিভাগ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা রাজস্ব ব্যবস্থাপনার আন্তর্জাতিক রীতিনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এই অধ্যাদেশের বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) মতামতে বলা হয়েছে, রাজস্ব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার নামে যে বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেই প্রক্রিয়াটিই স্বচ্ছ কি-না, এমন প্রশ্ন ওঠাও অমূলক নয়। গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ও মতামতের জন্য আমরা টিআইবিকে ধন্যবাদ জানাই।’

উপকমিশনার (কাস্টমস) সানজিদা খানম বলেন, সানজিদা খানম বলেন, আমাদের এই কয়েক দিনের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্দোলনকে এ পর্যায়ে আনায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট এক্সিকিউটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাকায়েভ), মিনিস্ট্রিয়াল অ্যাসোসিয়েশন (বাকাএম), বাংলাদেশ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি (বাকাস), বাংলাদেশ ট্যাকসেস ইন্সপেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্যাক্সেস এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্যাক্সেস ১৭-২০ তম গ্রেড সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, গাড়িচালক সমিতিসহ অন্যান্য সকল অংশীজন, সাংবাদিকবৃন্দ, মিডিয়া, সুশীল সমাজসহ সকল স্টেক হোল্ডারগণকে ধন্যবাদ জানাই।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত