Homeঅর্থনীতিগার্মেন্টস মালিকেরা হয় শ্রমিকদের বেতন দেবেন, না হয় জেলে যাবেন: শ্রম উপদেষ্টা

গার্মেন্টস মালিকেরা হয় শ্রমিকদের বেতন দেবেন, না হয় জেলে যাবেন: শ্রম উপদেষ্টা

[ad_1]

আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে ২৮ মের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সব বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট গার্মেন্টস মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনকি তাঁদের জেলেও যেতে হতে পারে।

এমন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান, এরই মধ্যে পাঁচজন গার্মেন্টস মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাঁরা দেশের বাইরে দূরে থাক, ঢাকার বাইরেও যেতে পারবেন না।

আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নৌপথের যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

শ্রম উপদেষ্টা জানান, বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠন থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ও কাকরাইলে শ্রম ভবন ঘেরাও কর্মসূচির খবর শোনা যাচ্ছিল। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সচিবালয়ে গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এই বৈঠকে গার্মেন্টস মালিকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা ঘরবাড়ি বিক্রি করে হলেও শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবেন এবং সেটা ২৮ মের মধ্যেই।

উপদেষ্টা বলেন, ‘গার্মেন্টস মালিকদের এই নিশ্চয়তা আমাদের আশান্বিত করেছে। আমরা মনে করছি, গার্মেন্টস মালিকেরা ২৮ তারিখের মধ্যে তাঁদের স্ব স্ব গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করবেন। এর অন্যথা হওয়ার সুযোগ নেই।’

সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, গার্মেন্টস মালিকেরা হয় শ্রমিকদের বেতন দেবেন, না হয় জেলে যাবেন। যাঁরা শ্রমিকদের বেতন দিতে পারবেন না, তাঁদের গার্মেন্টসের মালিক হওয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ কেউ হয়তো ফ্যাশন করার জন্য গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করেন। আগামী দিনে এটা হতে দেওয়া যাবে না।

উপদেষ্টা জানান, টিএনজেড গার্মেন্টস, মাহমুদ গার্মেন্টসসহ পাঁচটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এ সময় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নৌপথে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন।

উপদেষ্টা জানান, এবার ঈদের আগে ও পরে কোনো বাল্কহেড নদীতে চলাচল করতে পারবে না। এ ছাড়া যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে চারজন করে সশস্ত্র আনসার নিয়োজিত থাকবে। তিনি যথাসময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত