গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে দেশের বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কয়েকটি জেলা সন্ধ্যায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিদ্যুৎহীন হয়ে যায়। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা নাগাদ এক দুর্ঘটনা ঘটে। তবে ত্রুটি কাটিয়ে পৌনে সাতটার পর থেকে কিছু কিছু জেলায় বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করে। রাত দশটা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে৷ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানো হয়।
শনিবার রাতে তাদের এক কর্মকর্তা জানান, ‘বিকাল ৫টা ৪৫-এ বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে আকস্মিক কারিগরি ত্রুটির ফলে সমগ্র বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের কিছু অংশ গ্রিড হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে যায়। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এসব এলাকাকে আবার গ্রিডের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে গ্রিডের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানানো হয় বার্তায়। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এসব অঞ্চলের জনগণকে। বিদ্যুৎনির্ভর সব কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়েছ।
পৌনে ছয়টায় বিপর্যয়ের পর ঘণ্টা খানেক সময় লেগেছে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে। এতটা সময় কেন প্রয়োজন হলো জানতে চাইলে পিজিসিবির এক কর্মকর্তা জানান, গ্রিড আবার চালু করাটা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে পুনঃ সংযোগের কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। নিরাপত্তা বজায় রেখে গ্রিড সাবস্টেশন এবং সঞ্চালন লাইনগুলো একের পর এক চালু হতে থাকে। কোনও স্থাপনা হয়তো ১৫ মিনিটের মাথায়, কোনোটি হয়তো ১০ মিনিটের মাথায়, কোনোটি হয়তো ২০ মিনিটের সময়- এভাবে পর্যায়ক্রমে রিস্টোরেশন সম্পন্ন হয়। গ্রিড রিস্টোরেশনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও চাহিদামাফিক একের পর এক চালু করা হয়। সব মিলিয়ে আজকের ঘটনায় পাওয়ার গ্রিডের ৪৫ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা সময় লেগেছে সব কিছু স্বাভাবিক হতে।