[ad_1]
চট্টগ্রাম বন্দরে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের আমদানিকারকদের অতিরিক্ত স্টোর রেন্ট থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
বুধবার (৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, এ সিদ্ধান্ত দেশের অন্যান্য শিল্পখাতের আমদানিকারকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করবে এবং ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।
ডিসিসিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২ জুন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলারের মাধ্যমে ঘোষণা করেছে যে, চট্টগ্রাম বন্দরে স্টোরেজ সময়সীমা অতিক্রান্ত হলে অন্যান্য খাতে চারগুণ হারে স্টোর রেন্ট আরোপ করা হলেও তৈরি পোশাক খাতের আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা ও সড়ক অবকাঠামো এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। যানজট ও পণ্য খালাসে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে প্রায় সব খাতের আমদানিকারকরা সমস্যার সম্মুখীন হন। এর সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ না নিয়ে শুধু একটি খাতকে বিশেষ সুবিধা দিলে তা অসাম্য সৃষ্টি করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই একক সুবিধা অন্যান্য খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দেবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায়ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
রফতানি বাণিজ্যের প্রসারে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে ডিসিসিআই সরকারকে অবিলম্বে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটি চট্টগ্রাম বন্দরে স্টোর রেন্ট হ্রাসের পাশাপাশি সব শিল্পখাতের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
এছাড়া আসন্ন ঈদুল আজহা ও অন্যান্য উৎসবের সময় যাতে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে এবং দীর্ঘ ছুটির কারণে পণ্য খালাসে কোনও বিলম্ব না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই। সংগঠনটি বলেছে, ছুটির কারণে যদি পণ্য খালাসে বিলম্ব হয়, তবে তার খেসারত যেন আমদানিকারকদের না গুণতে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
[ad_2]
Source link