ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ায় তেলের সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর সেই আশঙ্কায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে ৯ শতাংশেরও বেশি, যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্যমতে, ব্রেন্ট ক্রুডের ভবিষ্যৎ মূল্য ব্যারেলপ্রতি এক লাফে ৬ ডলারের বেশি বেড়ে এখন ৭৫ ডলার ছাড়িয়েছে। কিছু সময়ের জন্য তা উঠে গিয়েছিল প্রায় ৭৯ ডলারে, যা গত জানুয়ারির পর সবচেয়ে বেশি। আমেরিকার অপর এক ধরনের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দামও ৬ ডলারের বেশি বেড়ে এখন ৭৪ ডলারের ওপরে। এটিও জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।
আজ তেলের দাম যতটা বেড়েছে, তা ২০২২ সালের পর একদিনে সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে অবস্থিত সিটি ইনডেক্সের জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রশ্ন হলো—এটা কি কেবল বাজারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ভূ-রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া, যেখানে অনেক হাইপ তৈরি হয় কিন্তু বাস্তব ফলাফল হয় না? নাকি যুক্তরাষ্ট্র সত্যিই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে?’
এদিকে বাজারের অন্যান্য খাতে, বিশেষ করে এশিয়ার প্রাথমিক লেনদেনে শেয়ারের দাম ব্যাপক হারে পড়ে গেছে, যেখানে মার্কিন ফিউচারের বিক্রয় চাপ ছিল সবচেয়ে বেশি। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণ ও সুইস ফ্রাঁর মতো নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝুঁকছেন।
টোকিওতে এসএমবিসি-র প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা কৌশলবিদ হিরোফুমি সুজুকি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রা বাজারেও স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে উত্তেজনাপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকির প্রভাব। ঝুঁকিমুক্ত সম্পদের চাহিদা বাড়ার ফলে জাপানি ইয়েনের চাহিদাও বাড়তে পারে।’