Homeঅর্থনীতিটেকসই সরকারি ক্রয় বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতার দাবি

টেকসই সরকারি ক্রয় বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতার দাবি


বাংলাদেশ সরকারি ক্রয়ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করেছে, যদিও সম্পূর্ণরূপে নয়, তবে ক্রয়ের একটি বড় অংশ এখন ই-জিপি (ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট) সিস্টেমের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এখন সরকার টেকসই সরকারি ক্রয় (এসপিপি) বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দিচ্ছে, যা সরকারি ক্রয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) লক্ষ্য ১২ দশমিক ৭ অর্জনের জন্য একটি বাধ্যবাধকতা। এর জন্য নারী উদ্যোক্তা এবং দরপত্রদাতাসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা প্রয়োজন।

সরকার এসপিপি বাস্তবায়ন করছে, আর এই ব্যাপক কাজের জন্য প্রয়োজন সক্ষমতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি, যথাযথ আইনি সহায়তা এবং সব ক্রয় দলিলের পুনর্বিন্যাস। পরিকল্পনা উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি স্টিয়ারিং কমিটি এটি বাস্তবায়নের কাজ তদারকি করছে। বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করছে এবং এর অংশ হিসেবে কর্তৃপক্ষ নারী উদ্যোক্তা এবং অন্য সংশ্লিষ্ট খাতের সঙ্গে আরও পরামর্শ করতে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এসপিপি নীতিতে নির্ধারিত ছয়টি পণ্য নিয়ে বিপিপিএ এসপিপির পাইলট বাস্তবায়ন করবে।

বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা আশফাকুর রহমান ২৪ এপ্রিল ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশের টেকসই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (এসপিপি) নীতি-সম্পর্কিত নীতি সংলাপে এই তথ্য জানান। বিপিপিএর পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন এসপিপি বাস্তবায়নের জন্য বিপিপিএর রোডম্যাপ সম্পর্কে একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন।

বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড), ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের (আইটিসি) সি ট্রেডস ইনিশিয়েটিভের সহযোগিতায়, যুক্তরাজ্যের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) সহায়তায় নীতি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগসমূহ চিহ্নিত করার জন্য এসপিপি নীতি-সম্পর্কিত একটি জরিপ ফলাফল প্রকাশের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ মনিটরের ২০২৩-২৪ নারী প্রতিবেদন উল্লেখ করে মির্জা আশফাকুর রহমান বলেন, বিশ্বজুড়ে নারী উদ্যোক্তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নারীরা উচ্চ-প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন-চালিত ব্যবসায় ক্রমবর্ধমানভাবে জড়িত হচ্ছে। তবুও তারা বিবিধ বাধার মুখোমুখি হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে অসম প্রবেশাধিকার। সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুসারে, বাংলাদেশে নারীরা প্রায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ ব্যবসার মালিক, যা দেশে উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে বড় ধরনের লিঙ্গবৈষম্যের ইঙ্গিত দেয়, বিপিপিএ প্রধান বলেন।

বিল্ডের সিইও ফেরদৌস আরা বেগম জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, যেখানে নারী মালিকানাধীন উদ্যোগের ব্যবসায় অংশগ্রহণের জন্য কিছু নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা এবং সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণ তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে নারী উদ্যোক্তা, ক্রয়কারী সংস্থা, বিপিপিএ এবং উন্নয়ন অংশীদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত