Homeঅর্থনীতিদশ বছরের পুরোনো গাড়ি আমদানির সুযোগ দাবি

দশ বছরের পুরোনো গাড়ি আমদানির সুযোগ দাবি


বর্তমানে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের পুরোনো গাড়ি আমদানির অনুমতি থাকলেও সেই সীমা দ্বিগুণ করার দাবি তুলেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। সংগঠনটির দাবি, ১০ বছরের পুরোনো গাড়ি আমদানির সুযোগ দিলে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে গাড়ি কেনা অনেক সহজ হবে। এতে গাড়ির দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে এবং প্রতিটি গাড়ির জন্য প্রায় ৫০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বারভিডার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আবদুল হক বলেন, ‘আমাদের দাবি বাস্তবায়িত হলে আমদানি-নির্ভর এই খাতে রাজস্বও বাড়বে।’ তিনি জানান, বর্তমানে দেশে আমদানি হওয়া গাড়ির ৭৫ শতাংশ জাপানের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি। আবার রিকন্ডিশন্ড বলা হলেও বারভিডার আমদানি করা গাড়িগুলো প্রায় নতুন।

সেগুলোতে ক্যাটালিটিক কনভার্টার সংযুক্ত থাকায় পরিবেশবান্ধব, ২০-২৫ বছর পর্যন্ত টেকসই হয় বলে গাড়িগুলো নিরাপদ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ কারণে বিশ্বজুড়ে এসব গাড়ির চাহিদা বেশি। জাপানে নির্মিত এ গাড়িগুলো নিরাপদে ব্যবহার করা যায় বলে সব শ্রেণির ক্রেতার কাছে এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বেশি।

আবদুল হক আরও বলেন, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে গাড়ি আমদানিতে বয়সসীমা না থাকলেও বাংলাদেশে তা মাত্র পাঁচ বছর। অথচ নিউজিল্যান্ডে এই সীমা ৮ বছর, কানাডায় ১৫ ও হংকংয়ে ৭ বছর। বারভিডার মতে, বাংলাদেশে এই সীমা অন্তত ১০ বছরে উন্নীত হওয়া উচিত।

আবদুল হক অভিযোগ করেন, রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শুল্ক নির্ধারণে বিদ্যমান ব্যবস্থায় বৈষম্য করা হচ্ছে। ‘আমরা যে গাড়িগুলোর জন্য ন্যূনতম ১২৯ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ৮২৬ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিচ্ছি, তা নির্ধারণ করা হচ্ছে জাপানের ইয়েলো বুকে উল্লিখিত মূল্যের ভিত্তিতে। অথচ এই মূল্যে ডিলার কমিশন বা স্থানীয় করের ছাড় নেই। অন্যদিকে নতুন গাড়ির আমদানিতে ২০ শতাংশ ছাড় দিয়ে শুল্ক ধরা হচ্ছে’—বলেছেন তিনি।

আবদুল হক আরও অভিযোগ করেন, এ বৈষম্যের কারণে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম অনেক ক্ষেত্রে নতুন গাড়ির থেকে বেশি পড়ে যাচ্ছে। এতে ক্রেতা কমে যাচ্ছে, ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং আমদানি হ্রাস পাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সেক্রেটারি জেনারেল রিয়াজ রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম (সম্রাট), প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি এস এম মনসুরুল করিম (লিংকন) ও অন্য নেতারা।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত