বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও বাজারে অস্থির পরিবেশের প্রেক্ষাপটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) লেনদেন শেষে সূচকটি ৫৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪,৭৮১ পয়েন্টে, যা ২০২০ সালের ২৫ আগস্টের পর সর্বনিম্ন।
এটি সূচকের টানা তৃতীয় দিনের দরপতন, যা বাজারে ব্যাপক মন্দাভাব এবং বিনিয়োগকারীদের হতাশার ইঙ্গিত দিচ্ছে। একইসঙ্গে ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১,৭৭০ পয়েন্টে।
দিনব্যাপী বাজারে লেনদেন ছিল চরমভাবে হতাশাজনক। মোট লেনদেন হয়েছে মাত্র ২৯৬ কোটি টাকা, যা বাজারে ক্রয়চাপে ভাটা এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থানের প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
লেনদেন হওয়া ৩৯৫টি শেয়ারের মধ্যে ৩১৭টির দাম কমেছে। দাম বেড়েছে মাত্র ৪২টির, আর ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। এ পরিসংখ্যান থেকেই বাজারে বিদ্যমান চাপ ও অনিশ্চয়তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমে যাওয়া, রেগুলেটরি অনিশ্চয়তা, আর্থিক খাত নিয়ে উদ্বেগ এবং মুদ্রানীতির কড়াকড়ির কারণে পুঁজিবাজারে আস্থার ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে।
তাদের মতে, বাজার স্থিতিশীল করতে হলে দ্রুত আস্থা ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে হবে এবং স্বচ্ছ নীতিমালার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুর দিকেও পুঁজিবাজারে কিছুটা স্থিরতা দেখা গেলেও গত দুই মাসে সূচকে ধারাবাহিক পতন ও লেনদেনের হ্রাস পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদি চাপে রূপ নিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।