Homeঅর্থনীতিপরিচালক হতে চান সাত দুর্নীতিগ্রস্ত মালিক-সিইও

পরিচালক হতে চান সাত দুর্নীতিগ্রস্ত মালিক-সিইও

[ad_1]

বিমা কোম্পানির মালিক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) নির্বাহী কমিটির নির্বাচন ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০ সদস্যের নির্বাহী কমিটির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৫ জন প্রার্থী। তবে শঙ্কার বিষয় হলো, তাদের মধ্যে আটজন বিমা খাতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও গ্রাহক স্বার্থ লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত। তাঁদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের বিমা দাবির অর্থ পরিশোধে অক্ষমতা প্রকাশ করেছে এবং নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত।

এ বিষয়ে আইডিআরএর সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, দুর্নীতিগ্রস্তরা যদি নেতৃত্বে আসেন, তাহলে এ খাত থেকে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেবে। এমনিতেই আস্থার সংকটে ভুগছে বিমা খাত।

এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড: প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আরিফ শিকদার এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। আইডিআরএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাত্র তিন বছর বয়সী এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের দাবি পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২১ সালের ৬ মে থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন বছরে কোম্পানির মোট আয় ৭৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ব্যয় করে ৬১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এই হিসাবে ব্যবসার আয় থেকে ব্যয় বাদ দিলে কোম্পানিটিতে ১৭ কোটি ৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ উদ্বৃত্ত থাকার কথা। কিন্তু গত ৩১ ডিসেম্বরে কোম্পানিটির প্রিমিয়াম আয় থেকে বিনিয়োগ রয়েছে মাত্র ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স: বিমা খাতের সবচেয়ে খারাপ কোম্পানি বলে পরিচিত ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স। এই কোম্পানি থেকে গ্রাহকের ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান, পরিচালক, মুখ্য নির্বাহী এবং বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। গত ৫ আগস্টের পরে কোম্পানিটির নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এস আলমের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ফখরুল ইসলাম। এবারের বিআইএর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।

রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স: দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতর্কিত বিবিএ ও এমবিএ সনদ নিয়ে রূপালী লাইফের সিইও গোলাম কিবরিয়া প্রার্থী হয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাবেক এমপি মাহফুজুর রহমান আত্মগোপনে রয়েছেন।

রূপালী ইনস্যুরেন্স : নন-লাইফ বিমা কোম্পানি রূপালী ইনস্যুরেন্স থেকে প্রার্থী হয়েছেন কোম্পানিটির পরিচালক মোস্তফা কামরুস সোবহান। তিনি সোনালী লাইফেরও পরিচালক এবং ড্রাগন সোয়েটারের সিইও। তিনি সোনালী লাইফের টাকাতেই সোনালী লাইফের শেয়ার কেনেন। আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউর এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, সোনালী লাইফের ৩৫৩ কোটি টাকা তছরুপের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ আট পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী ও অপর দুই কর্মকর্তা। এ ছাড়া কোম্পানিটির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহীর এক ভাই ও ফুফুর নাম উঠে এসেছে তহবিল তছরুপে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকায়। এই আটজনের মধ্যে মোস্তফা কামরুস সোবহান একজন।

প্রাইম ইনস্যুরেন্স: অতিরিক্ত ব্যয়, অবৈধ কমিশন এবং ভুয়া বেতন-ভাতা প্রদান, লোকসান গোপনের অভিযোগ রয়েছে প্রাইম ইনস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে। বিআইএ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন।

ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স: কোম্পানির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ প্রার্থী হয়েছেন বিআইএর নির্বাচনে। সাধারণ বিমা খাতের এই কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রিমিয়াম আয়ের তথ্য গোপন, অতিরিক্ত ব্যয়, ট্যারিফ রেট লঙ্ঘন, অতিরিক্ত কমিশন প্রদান, ভ্যাট ফাঁকি, বাকিতে ব্যবসাসহ বিমা আইন লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ২০২২ সালে ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্সকে ৫ লাখ টাকা জরিমানাও করে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।

কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স: নির্বাচনে আরেক প্রার্থী কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান কে এম আলমগীর। সরকারি সিকিউরিটিজ বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম করার পাশাপাশি সিইও নিয়োগেও অনিয়ম করেছে এই কোম্পানিটি।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত