Homeঅর্থনীতিবাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভারতে বেচতে মোদির কাছে বিশেষ ছাড় চায় আদানি

বাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভারতে বেচতে মোদির কাছে বিশেষ ছাড় চায় আদানি

[ad_1]

ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টে উৎপাদিত কিছু বিদ্যুৎ নিজ দেশেও বিক্রি করতে চায় ভারতীয় শিল্প গোষ্ঠী আদানি। আর এ লক্ষ্যে তারা ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের কাছে বিশেষ ছাড় চেয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানি পাওয়ার লিমিটেড ভারতের পূর্বাঞ্চল ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত তাদের ২ বিলিয়ন ডলারে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সরকারের কাছে নতুন সুবিধা দাবি করছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের একমাত্র ক্রেতা বাংলাদেশ। তবে কোম্পানিটির দাবি, বাংলাদেশ ঠিকমতো বকেয়া পরিশোধ না করায় তারা ঝামেলায় পড়েছে।

গত আগস্টে ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় আদানিকে এই কেন্দ্র থেকে ভারতের অভ্যন্তরেও বিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি। কিন্তু কেন্দ্রটি একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় অভ্যন্তরীণ বিক্রিতে বাধা সৃষ্টি করছে সংশ্লিষ্ট আইন। আর তাই ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যদি বিশেষ ছাড় না দেয়, তাহলে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমদানি পণ্য হিসেবে গণ্য হবে এবং এ জন্য আদানির বিদ্যুতের ওপর কর আরোপ করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানিয়েছে, আদানি পাওয়ার এই কেন্দ্র চালানোর জন্য ব্যবহৃত আমদানি করা কয়লার শুল্কমুক্তির সুবিধা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে। এই সুবিধা ছাড়া ভারতের বাজারে বিদ্যুতের যে দাম তার চেয়ে বেশি হয়ে যাবে আদানির বিদ্যুতের দাম। ফলে গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। এই বিষয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে মন্তব্য চাওয়া হলেও আদানি পাওয়ার কোনো মন্তব্য করেনি।

আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রায় এক দশমাংশ সরবরাহ করত। সেপ্টেম্বর নাগাদ বাংলাদেশের কাছে কোম্পানিটির বকেয়া দাঁড়ায় ৭৯০ মিলিয়ন ডলার। তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশ বেশ কিছু বকেয়া পরিশোধ করেছে এবং পরিশোধ অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছে।

বাংলাদেশের বকেয়া বিষয়ে আদানি পাওয়ারের ইনভেস্টর রিলেশনের প্রধান নিশিত দাভে বলেন, ‘আমরা আশা করি, বকেয়া পরিস্থিতি আর খারাপ হবে না এবং এই মুহূর্তে আমরা মনে করি না যে, আমাদের অন্য কোনো বিকল্প খুঁজতে হবে। তবে প্রয়োজন হলে আমরা এই বিষয়ে চিন্তা করব। আমরা বিভিন্ন বিকল্প বিবেচনা করব।’

আদানির ঝাড়খণ্ডের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মূল ক্রেতাই ছিল বাংলাদেশ। তবে বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করলে এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর নতুন সরকার এসে বকেয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এই বিষয়টি এমন এক সময়ে সামনে এসেছে যখন, নতুন অন্তর্বর্তী সরকার আগের সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি পুনঃ মূল্যায়নের চেষ্টা শুরু করেছে।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমস্যা আদানি গ্রুপের বিদ্যমান সমস্যায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে মাত্র। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলিরা আদানি গ্রুপের প্রধান গৌতম আদানিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনেন। আদানি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং আইনি প্রতিকার চাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত