[ad_1]
প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে না বলে মনে করছেন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)-এর সভাপতি জাভেদ আখতার।
আজ বুধবার রাজধানীর এফআইসিসিআই অডিটোরিয়ামে ‘পোস্ট-বাজেট প্রেস মিট’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাভেদ আখতার বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাজেটে ব্যবসার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে বিপরীতে বাজেটের অনেক পদক্ষেপ বিনিয়োগকরীদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘করের আওতা না বাড়ালে ব্যবসায়িক খাতে চাপ তৈরি হবে। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে চলে, তাদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপবে। কিন্তু বাজেটে তেমন কিছু নেই।’
জাভেদ আখতার আরও বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ মূলত নির্ভর করে নীতির ধারাবাহিকতা, ব্যবসা সহজীকরণ এবং দেশের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার ওপর। বিনিয়োগকারীরা ৫০ বছরের পরিকল্পনা করে বিনিয়োগ করেন। আমিও গত বছর ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি, আগামী ৫০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে। তাই নীতির স্থায়ীত্ব অত্যন্ত জরুরি।’
এফআইসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী কর জাল সম্প্রসারণের জন্য কাস্টমস ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অটোমেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, অটোমেশন না হলে কর জাল বাড়ানো যাবে না।
আরেক সাবেক সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আইএমএফের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে যেন ব্যবসায়িক খাতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফআইসিসিআই-এর পরামর্শক স্নেহাশীষ বড়ুয়া। তিনি রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠনের সুপারিশ করেন।
[ad_2]
Source link