Homeঅর্থনীতিবেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম, কমেছে সবজি-মুরগির

বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম, কমেছে সবজি-মুরগির

[ad_1]

মৌসুমের শেষ দিকে এসে আবার বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ তা ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। অপর দিকে গত সপ্তাহে ক্রস জাতের পেঁয়াজ ছোট ও বড় আলাদা করে প্রতি কেজি যথাক্রমে ১২০ ও ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও আজ সবই বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা করে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০-১০০ কেজিতে বিক্রি হলেও তা আজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও কমছে সবজি ও সব ধরনের মুরগির মাংসের দাম। বেশ কিছু সবজির দাম আজ কমেছে। অপরিবর্তিতও রয়েছে কয়েকটি। আর দেশি মুরগির দামও রয়েছে অপরিবর্তিত।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় এই চিত্র।

আজকের বাজারে ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এর মধ্যে ছোট ও বড় সাইজের পেঁয়াজ একই দামে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা করে। এছাড়া নতুন আলু ১০০ টাকা, লাল আলু ৮০ টাকা, সাদা আলু ৮০ টাকা, বগুড়ার আলু ৯০ টাকা, দেশি রসুন ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২৪০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১৪০ দরে বিক্রি হচ্ছে।

  বাজারে ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়

এক্ষেত্রে গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ছোট ও বড় আলাদা করে প্রতি কেজি যথাক্রমে ১২০ ও ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও আজ সবই বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা করে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০-১০০ কেজিতে বিক্রি হলেও তা আজকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এছাড়াও নতুন আলু দাম কমেছে ২০ টাকা। আর লাল, সাদা ও বগুড়ার আলুর দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। চায়না আদার দাম কমেছে ৪০ টাকা এবং ভারতীয় আদার দাম বেড়েছে ২০ টাকা।

দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়া নিয়ে বিক্রেতা মো. ইউসুফ বলেন, দেশি পেঁয়াজে এখন গাছ হয়ে যাচ্ছে। আবার শুকিয়েও যাচ্ছে। অনেক নষ্ট বের হয়। দোকানে এনে বেশি দিন রাখা যায় না। আমাদের অনেক পেঁয়াজ ফালানো যায়। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

এদিকে পেঁয়াজ কিনতে আসা ফারহান বলেন, বাজার আর সরকার কন্ট্রোল করতে পারবে বলে মনে হয় না। যে যেভাবে পারছে ব্যবসা করছে। কয়েক দিন মনিটরিং করে আবার থেমে যায়। নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। পেঁয়াজ কেন এখনও আমাদের ১৪০ টাকায় কিনে খেতে হবে?

কমছে সবজির দাম

পেঁয়াজের দাম বাড়লেও কমছে সবজির দাম। আজ বাজারে ভারতীয় টমেটো ১৪০ টাকা, টক টমেটো ১৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৭০ টাকা, চায়না গাজর ১৪০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০-৭০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১০০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৭০-৮০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, ধনেপাতা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৮০ টাকা, চালকুমড়া ৮০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, লেবু বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৩০-৫০ টাকা করে।

কমেছে বেশিরভাগ সবজির দাম

এক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রতি কেজিতে ভারতীয় টমেটোর দাম কমেছে ২০ টাকা, টক টমেটোর দাম কমেছে ২০ টাকা, কাঁচা টমেটোর দাম কমেছে ১০ টাকা, শসার (দেশি) দাম কমেছে ২০ টাকা, মুলার দাম কমেছে ১০ টাকা, পটোলের দাম কমেছে ১০ টাকা, কাঁচা মরিচের দাম কমেছে ২০ টাকা এবং ধনেপাতার দাম কমেছে ৬০ টাকা। এছাড়া প্রতি পিসে লাউয়ের দাম কমেছে ২০ টাকা।

আর প্রতি কেজিতে কচুরমুখীর দাম বেড়েছে ২০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়ার দাম বেড়েছে ১০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

দেশি মুরগি ছাড়া সব মুরগির দাম কমেছে

আজকের বাজারে দেশি মুরগি ছাড়া সব মুরগির দাম কমেছে। আর গরু ও খাসির মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। আজকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আজকে ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ১৭৫-১৯৫ টাকা, কক মুরগি ২৮৮-২৯৮ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৭০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪০ টাকা ও সাদা ডিম ১৩৫ টাকা।

এক্ষেত্রে দেখা যায় আজকে ব্রয়লার মুরগি দাম কমেছে তিন টাকা, কক মুরগির দাম কমেছে দুই থেকে ছয় টাকা, লেয়ার মুরগির দাম কমেছে ১০ টাকা। এছাড়া গরুর মাংস, খাসির মাংস ও দেশি মুরগির ও লেয়ার মুরগির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। একই সঙ্গে ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিমের দামও রয়েছে অপরিবর্তিত।

বাজারে দেশি মুরগি ছাড়া সব মুরগির দাম কমেছে

এছাড়া আজকের বাজারে আকার ও ওজন অনুযায়ী ইলিশ মাছ ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতলা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কালিবাউশ ৫৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ থেকে ৭০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪০০ থেকে ৯০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কাজলি মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, শোল মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মেনি মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিতল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, সরপুঁটি ৫০০ টাকা এবং রূপচাঁদা মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুদিপণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত

আজ বাজারের মুদি দোকানের পণ্যের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে চিনির দাম এবং বেড়েছে খোলা সয়াবিন ও খোলা সরিষার তেলের দাম। ছোট মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১৪৫ টাকা, মাষকলাই ডাল ১৯০ টাকা, ডাবলি ৭৫ টাকা, ছোলা ১৩০ টাকা, প্যাকেট পোলাও চাল ১৫০ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ১১০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১২৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা এবং খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদি দোকানের পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত

তবে হঠাৎ করেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। মহল্লার দোকান থেকে বাজারের মুদি দোকান, সবখানেই একই অবস্থা। সয়াবিন তেলের এই সংকটে বিপাকে পড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। এদিকে বাজারে যেসব দোকানে তেল পাওয়া যাচ্ছে, তারা বিক্রি করছেন সঙ্গে অন্য কোনও পণ্য কেনার শর্তে। এই শর্ত জুড়ে দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত