এনবিআর বিলুপ্ত, প্রমিত রাজস্ব অধ্যাদেশ বাতিল এবং টেকসই রাজস্ব সংস্কারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। এর আগে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ছিল কলমবিরতি।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আহ্বানে জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেনাপোল কাস্টমসের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। আগামী শনিবার শেষ হবে তিন দিনের এই কলমবিরতি।
কলমবিরতির আওতায় না থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল পথে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কাস্টমস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পণ্য খালাস কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, কাস্টমস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিল্পকারখানার জরুরি পণ্যসমূহ সময়মতো খালাস করা যাচ্ছে না, ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ভারত থেকে ৫০০ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে ২৫০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে কলমবিরতির কারণে বুধবার আমদানি হয়েছে ৩০৬ ট্রাক এবং রপ্তানি হয়েছে ১৬৭ ট্রাক পণ্য। এতে দুই দিনে প্রায় ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় কমেছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘শিল্প কারখানার জরুরি কাঁচামাল সময়মতো খালাস করতে না পারায় অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, ‘কলমবিরতির সময় কাস্টমস অফিসে কার্যক্রম চলছে না। ফলে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে না পারায় খালাস ব্যাহত হচ্ছে।’
অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ এবং বন্দরবিষয়ক সম্পাদক মেহেরুল্লাহ দ্রুত সমাধান চেয়ে বাণিজ্যিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, চলমান কলমবিরতি নিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে মত দিলেও কাস্টমস কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।