Homeঅর্থনীতিভারত থেকে সিলেটের শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

ভারত থেকে সিলেটের শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

[ad_1]

সিলেটের জকিগঞ্জ, সুতারকান্দি ও জুড়িসহ প্রায় সবগুলো শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানিসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের শ্রীভূমি (সাবেক করিমগঞ্জ) সনাতনী ঐক্য মঞ্চের নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার রাতে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার মধ্যে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কে মুক্তি না দিলে দেশের সকল শুল্ক স্টেশন দিয়ে সবধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।

রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের শ্রীভূমি শুল্ক স্টেশনে সেখানকার বিক্ষোভকারীরা দুপুরের দিকে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এলসি করা মালামালের গাড়ি ফেরত দিয়েছেন। এ নিয়ে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন থেকে আমরা ভারতের শ্রীভূমি শুল্ক স্টেশনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও সেখানকার কর্মকর্তারা কল রিসিভ করেননি। তবে সকালের দিকে প্রায় ৬ টন কমলা বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে। জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতে কোন পণ্য দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানি হয় না। সুতারকন্দি শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য ভারতে যায়। খবর পেয়েছি আজ সুতারকান্দি ও জুড়ি সহ কোনো স্টেশন দিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই কর্মকর্তা জানান, আগামীকাল সকাল ৬টার মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ বহ্মচারীকে মুক্তি না দিলে সারাদেশে সকল শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।

জকিগঞ্জের স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরের দিকে ভারতের শ্রীভূমি শুল্ক স্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন সনাতনী ঐক্য মঞ্চ সংগঠনের সদস্যরা। পরে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আমদানি-রপ্তানিসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারী। এর আগে এদিন সকালের দিকে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের শ্রীভূমি থেকে প্রায় ৬ টন কমলা বাংলাদেশে আমদানি হয়। পরে সেখানকার বিক্ষোভকারীরা আমদানি-রপ্তানিসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। বাংলাদেশি আমদানি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের এলসি করা মালামালের গাড়ি ভারতের শ্রীভূমি শুল্ক স্টেশন থেকে ফেরত গেছে। এতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

তবে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেটের উপ কমিশনার (অতিরিক্ত দায়িত্ব-সদর দপ্তর) মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড়ছড়াসহ কয়েকটি স্টেশন দিয়ে পাথর-কয়লাসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির হয়েছে জেনেছি। জকিগঞ্জ দিয়ে এমনিতেই তেমন একটা আমদানি-রপ্তানি হয় না। আর ওই দেশে কিছু হলে তো আমাদের কিছু করার নাই। তাছাড়া আমাদের কোনো আমদানি-রপ্তানিকারক অভিযোগও করেননি যে, তারা ইম্পোর্ট-এক্সপোর্ট করতে পারছেন না।’



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত