Homeঅর্থনীতিমে মাসে এল ৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স

মে মাসে এল ৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স

[ad_1]

দেশে রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে। সদ্য শেষ হওয়া মে মাসেও দেশে এসেছে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি দেশের ইতিহাসে যেকোনো মাসে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণের রেকর্ড।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য থেকে জানা গেছে, মে মাসে এসেছে ২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা। এই হিসাবে মে মাসে প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা।

এই পরিমাণ দেশের ইতিহাসে একক মাস বিবেচনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স। এর আগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল গত এপ্রিলে। সেই রেকর্ড ভেঙে দিল সদ্য বিদায়ী মে। আর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সে এসেছিল গত মার্চ মাসে, ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, বর্তমানে দেশ থেকে অর্থ পাচার বন্ধ হয়েছে। একইভাবে হুন্ডির দৌরাত্ম্যও কমেছে। এ ছাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্সের দরও ভালো এবং নিরাপদ রয়েছে। এসব কারণে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতি মাসেই দুই বিলিয়ন ছাড়াচ্ছে রেমিট্যান্স। এখন পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ে (প্রথম ১১ মাসে) মোট ২ হাজার ৭৫০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) এসেছিল ২ হাজার ১৩৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার বা ৬১৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার বেশি এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মে মাসের পুরো সময়ে প্রায় ২৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪১ কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি। আর গত মাস এপ্রিলের চেয়ে বেশি এসেছে ২২ কোটি ডলার।

এর মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে প্রায় ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৭ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

এদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ, নভেম্বরে এসেছে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি ও সবশেষ এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত