[ad_1]
রমজানের আগেই চড়া হতে শুরু করেছে ফলের বাজার। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা বলছেন, রমজানে বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিছু বলার নেই, দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিমাণে কম কিনতে হবে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, আগের সরকারও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান সরকারও পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। আসলে সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সরেজমিন মূল্য বৃদ্ধির তথ্য পাওয়া গেছে।
রাজধানীর রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আপেল বর্তমানে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, মাল্টা ২৮০ টাকা, পেয়ারা ৮০-১০০ টাকা, তরমুজ সাইজ ভেদে ৪৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী মাসুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রতিটি ফলের দাম বাড়তির দিকে। আপেল ও মালটার দাম আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, একশ্রেণির আড়তদার মাল স্টক করে ফেলছে, ফলে পর্যাপ্ত পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। দাম বেশি দিয়ে কিনে সীমিত লাভ করে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি।
মাসুদ জানান, সব ধরনের ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে বেড়েছে।
ফল ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তার দোকানে হরেক রকমের আপেল রয়েছে। সর্বনিম্ন ৩৬০ টাকা থেকে ৪২০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাজার এখন চড়া হয়ে গেছে। কদিন আগেও এই একই আপেলের দাম কম ছিল। অথচ এখন প্রতিকেজি ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, পেয়ারা আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। এখন ১২০ টাকা প্রতি কেজি। পেঁপে প্রায় ২০০ টাকা কেজি। আর তরমুজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রুবেল মিয়ার জানান, কাল শুক্রবার থেকে আবারও দাম বাড়বে। এই দাম বাড়ার প্রবণতা পুরো রমজানজুড়েই থাকবে।
তার অভিযোগ, মালামাল স্টক হয়ে গেছে। সংকট দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে দাম বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের মতো সাধারণ বিক্রেতাদের করার কিছুই নেই।
এদিকে ফল কিনতে আসা ক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, দাম বাড়ার ভয়ে দু’দিন আগেই তিনি কিনতে এসেছেন। কিন্তু এসে দেখেন গত সপ্তাহ থেকে ফলের দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
তার অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা আগেও জিম্মি ছিলাম, এখনও জিম্মি। কোনও সরকারই ব্যবসায়ী, যারা বিভিন্ন সুযোগ খুঁজে দাম বাড়িয়ে দেয়, এদের দমাতে পারলো না।
আরেক ক্রেতা ইয়াসিন আহমেদ বলেন, আমরা কোথায় যাবো। কার কাছে বলবো। সব সহ্য করেই চলেছি।
তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়গুলো বারবার বললেও কেউ কানে নেয় না।
বাজারে আসা লোকজন বলছেন, এখনই কঠোর মনিটরিং না করলে যে পরিস্থিতি দেখছি, তাতে রমজানে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠবে।
[ad_2]
Source link