Homeঅর্থনীতিশক্তিশালী-নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবে বিপিপি অংশীদাররা

শক্তিশালী-নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবে বিপিপি অংশীদাররা


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মোকবিলার মাধ্যমে শক্তিশালী ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবে বাংলাদেশ প্রিপায়্যার্ডনেস পার্টনারশিপের (বিপিপি) অংশীদাররা।

সোমবার (২৬ মে) দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) আয়োজনে ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সরকার, বেসরকারি খাত, এনজিও এবং শিক্ষাবিদসহ প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং সহনশীলতার জন্য একত্রে কাজ করার ওপর জোর দেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বিপিপি মোবিলাইজেশন ডেস্কের চেয়ারম্যান এ কে এম আব্দুল ওয়াদুদ। সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ, আইডিএমভিএসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন। এছাড়া এডিপিসি সদর দফতরের (ব্যাংকক) সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ শিবানী গুপ্তা সভায় ভার্চুয়ালি সভায় যোগদান করেন।

সভাপতির বক্তব্যে এ কে এম আব্দুল ওয়াদুদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল (ডিএমএফ) কার্যকর রাখা এবং দেশের প্রায় ৮০ লাখ স্বেচ্ছাসেবককে একত্রিত হয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তৃণমূলসহ সব পর্যায়ের প্রচেষ্টার সমন্বয় সাধনের জন্য একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্মের পক্ষে কথা বলেন তিনি।

এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর বলেন, আমাদের দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতিতে সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবিদ, প্রাইভেট সেক্টর এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। সবার সমন্বিত পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টাই এই সভার মূল উদ্দেশ্য।

তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের মাধ্যমে আমরা প্রাইভেট সেক্টরের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জরুরি প্রস্তুতি বাড়াতে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং অর্ডার অন ডিজাস্টার (এসওডি) ২০১৯-এ এফবিসিসিআইকে বেসরকারি খাতের সমন্বয়, সচেতনতা বৃদ্ধি, জরুরি সেবা চলমান রাখা এবং ব্যবসায়িক সহনশীলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনার আলোকে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রিপেয়ারডনেস পার্টনারশিপ প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত জেলা চেম্বারে সেইফটি সেল গঠন এবং প্রাইভেট সেক্টরের ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন ও প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। এই প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে দুর্যোগে দ্রুত ও কার্যকর সাড়া দিতে সক্ষম।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউট (আইডিএমভিএস) এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাডেমিক অংশীদাররা রেসপন্স ক্যাপাসিটি ইনডেক্সের (আরসিআই) ওপর বেসলাইন গবেষণার ফলাফল এবং হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করেন। এপিডিসি’র সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত