Homeঅর্থনীতি‘শের-ই-বাংলা স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেলেন এস কে মনোয়ার নাহিদ

‘শের-ই-বাংলা স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেলেন এস কে মনোয়ার নাহিদ


বাংলাদেশের টেলিভিশন সম্প্রচার শিল্পে সৃজনশীল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এস কে মনোয়ার নাহিদ ‘শের-ই-বাংলা স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেলেন। ১৭ মে (শনিবার) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের (বিএফডিসি) এটিএন বাংলা স্টুডিওতে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাজু ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রুমানা ইসলাম মুক্তি তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে শের-ই-বাংলা সামাজিক সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন, যারা দীর্ঘদিন ধরে সমাজ ও সংস্কৃতির উন্নয়নে কাজ করে আসছে। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল এটিএন বাংলা।

এই দিনটিই ছিল দেশের গুণী ব্যক্তিদের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত, যেদিন সৃজনশীল ও সমাজসেবামূলক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশসেরা প্রতিভাবান ব্যক্তিদের সম্মাননা দেওয়া হয়। যেখানে এস কে মনোয়ার নাহিদ টেলিভিশন সম্প্রচারে সৃজনশীল নেতৃত্ব এবং পরিবেশ সচেতনতা প্রসারে অবদানের জন্য বিশেষভাবে সম্মানিত হন।

২০০৭ সালে আরটিভিতে জুনিয়র মোশন গ্রাফিকস ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা এস কে মনোয়ার নাহিদ দ্রুতই যমুনা টিভি, ইনডিপেনডেন্ট টিভি এবং চ্যানেল ২৪-এর মতো শীর্ষস্থানীয় চ্যানেলে সৃজনশীল নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনি বাংলাদেশের টেলিভিশন সম্প্রচার শিল্পে রিয়েল-টাইম গ্রাফিকস, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি এবং ভার্চুয়াল সেট প্রযুক্তির প্রবর্তনের মাধ্যমে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।

২০১৬ সালে নরওয়ের বিশ্ববিখ্যাত ভিজআরটি প্রতিষ্ঠান থেকে ‘প্রো ভিজ আর্টিস্ট ডিজাইনার’ সার্টিফিকেশন অর্জন করে তিনি বাংলাদেশের টেলিভিশন গ্রাফিকসকে বিশ্বমানের সঙ্গে সমন্বিত করেন। একই বছর নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্প্রচার সম্মেলনে (IBC) অংশগ্রহণ করে তিনি অ্যাডোবি এবং ভিজআরটির পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা লাভ করেন।

২০১৯ সালে তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে স্থানীয় টিভি চ্যানেল ডিবিসিতে পেশাদারদের ভিজআরটি প্রযুক্তির ওপর উন্নত প্রশিক্ষণ দেন। এ ছাড়া, পাঠশালা, দক্ষিণ এশিয়া মিডিয়া ইনস্টিটিউটে ফ্যাকাল্টি সদস্য হিসেবে তরুণ মিডিয়া পেশাদারদের অনুপ্রাণিত করছেন।

লেখক হিসেবেও তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। ‘Creatives in Television Broadcast Industry’ বইয়ে তিনি মোশন ডিজাইন, নির্বাচন গ্রাফিকস, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি এবং ভবিষ্যতের সম্প্রচার প্রবণতা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। পরিবেশ সচেতনতা প্রসারে তাঁর লেখা ‘Guardians of Earth: Simple Steps to a Sustainable Future’ বইটি দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার পরামর্শ দেয়।

এস কে মনোয়ার নাহিদ রুদ্র এফএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হিসেবে বাংলাদেশ, পর্তুগাল, যুক্তরাষ্ট্র ও দুবাইয়ে সফলভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন, যেখানে তিনি অনেক মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন।

শের-ই-বাংলা স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এ তাঁর এই সম্মাননা প্রাপ্তি দেশের টেলিভিশন সম্প্রচার শিল্পে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি। তিনি কেবল একজন ব্রডকাস্ট গ্রাফিকস বিশেষজ্ঞ নন—তিনি এক পথপ্রদর্শক, ভবিষ্যৎ নির্মাতা এবং বাংলাদেশের গর্বিত প্রতিনিধি।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত