Homeঅর্থনীতিসয়াবিনের সরবরাহ বাড়লেও সমস্যা কিছু পণ্যের দামে

সয়াবিনের সরবরাহ বাড়লেও সমস্যা কিছু পণ্যের দামে

[ad_1]

ভোজ্যতেলের সংকট কিছুটা কাটতে শুরু করেছে এবং বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই সংকটের মধ্যে বাজারে তেলের বোতলজাত সরবরাহ বেড়েছে এবং সুপারশপের পাশাপাশি বিভিন্ন মুদিদোকানে এক লিটার, পাঁচ লিটার এবং আট লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। যদিও এই সরবরাহ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবুও বাজারে পুরোপুরি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি এবং বিভিন্ন বাজারে এখনো তেল পাওয়া যাচ্ছে সীমিত পরিসরে। শুধু একটি বা দুটি ব্র্যান্ডের তেল বাজারে দেখা যাচ্ছে এবং চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম।

কয়েক সপ্তাহ ধরে সয়াবিন তেলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল, বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার বাজারগুলোয়। কারণ, ঢাকার অধিকাংশ বাজারে খোলা তেলের তুলনায় বোতলজাত তেলের চাহিদা অনেক বেশি। দীর্ঘ সময় ধরে এই সংকট চলার কারণে খোলা তেলের দাম বেড়ে গিয়ে ২০০ টাকা লিটারেও পৌঁছেছিল। তবে বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর এবং মানিকনগরের মতো বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তীর, রূপচাঁদা, ফ্রেশ ও বসুন্ধরা সয়াবিন তেলের সরবরাহ বেড়েছে, যদিও আগের মতো পুরোপুরি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। বাজারের কিছু দোকানে দুটি ব্র্যান্ডের তেল পাওয়া যাচ্ছে, তবে চাহিদা অনুযায়ী তেল সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

সেগুনবাগিচা বাজারের মুদিদোকানি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগে তেল পাওয়া যেত না, তবে এখন আমরা তীর ও বসুন্ধরা এই দুটি ব্র্যান্ডের তেল পাচ্ছি। তবে চাহিদা অনুযায়ী এখনো সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না।’ তিনি আরও জানান, পাঁচ কার্টনের চাহিদা থাকলেও কোম্পানি দুই কার্টন তেল পাঠাচ্ছে এবং ঈদের আগে হয়তো সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হবে।

তবে তেলের সরবরাহ বাড়লেও দাম নিয়ে সমস্যা রয়ে গেছে। খোলা তেলের দাম এখনো ১৮৫-১৯০ টাকা লিটার পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, যা সরকারের নির্ধারিত ১৫৮ টাকার চেয়ে বেশি। এতে সাধারণ ক্রেতারা বিশেষভাবে সমস্যায় পড়ছেন। অনেকেই দাম বাড়ার জন্য বিক্রেতাদের অভিযোগ করছেন, কিন্তু কোনো কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় পরিস্থিতি ঠিক করা যাচ্ছে না।

এদিকে ভোজ্যতেলের সংকট কাটলেও তরল দুধের দাম ১০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা লিটার হয়েছে, যা বিশেষ করে শিশুসম্পন্ন পরিবারগুলোর জন্য চাপ বাড়িয়েছে। রাজধানীর শান্তিনগরের বাসিন্দা মো. টিপু জানান, ‘রোজায় প্রতিদিন ১ লিটার দুধের দাম বাড়ানোর ফলে আমাদের ১০ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে, যা মাসে ৩০০ টাকা বেড়ে যাচ্ছে।’ তিনি মনে করেন, এভাবে দাম বাড়ানো উচিত হয়নি এবং কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল বাজার মনিটরিং করা।

রোজার শুরুর পর লেবু, শসা, বেগুন ও কিছু সবজির দাম বেড়েছিল, তবে বর্তমানে লেবুর দাম ১২০ টাকা হালি থেকে কমে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ১০০ টাকা কেজি, শসা ও ক্ষীরা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে বেশি ছিল। পেঁয়াজ ও আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা কেজি এবং আলু ২৫ টাকা কেজি।

তেলের দাম ও তরল দুধের দাম বেড়েছে, যার কারণে সাধারণ মানুষের চাপ বেড়েছে। তবে কিছু পণ্যের দাম আগের স্তরে স্থিতিশীল রয়েছে, যেমন চিনি ১২৫-১৩০ টাকা কেজি, ছোলা ১১০-১১৫ টাকা, মসুর ডাল ১১০-১৩৫ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি। ঈদের আগে কিছু পণ্যের সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে পারে, তবে তেলের দাম ও দুধের দাম নিয়ে চাহিদা বেশি এবং কর্তৃপক্ষের উচিত এ বিষয়ে নজর রাখা।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত