Homeঅর্থনীতিসামাজিক সুরক্ষায় দরকার ভিন্ন কাঠামোর বাজেট

সামাজিক সুরক্ষায় দরকার ভিন্ন কাঠামোর বাজেট


বর্তমান সরকারের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ ছিল সামাজিক খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে কাঠামোগত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া গেলে তা শুধু বর্তমান সরকারের নয়, পরবর্তী সরকারের জন্যও একটি নৈতিক ও নীতিগত চাপ তৈরি করত। কিন্তু সেই সাহসী ও দূরদর্শী পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। নির্বাচনের পর যে সরকারই আসুক না কেন, যদি একই পুরোনো ধারা অনুসরণ করা হয়, তাহলে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়ে।

আমরা বিশেষভাবে লক্ষ রাখব, আসন্ন বাজেটে এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমাদের বিদ্যমান শুল্ককাঠামোতে যেসব প্যারা-ট্যারিফ রয়েছে—যেমন সারচার্জ, এসডিসহ আরও অতিরিক্ত যে শুল্কগুলো আছে, সেগুলো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর এগুলো বাতিলের চাপ বাড়বে। সরকার এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, বাজেটে তা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

এ ছাড়া সংকটকালীন বাস্তবতায় রাজস্ব আহরণ এবং করব্যবস্থার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি ছিল। কোন খাত থেকে কীভাবে কর আদায় করা যাবে এবং আয়বর্ধক সংস্কার কীভাবে কার্যকর করা যায়, তা নির্ধারণ করার এটাই ছিল উপযুক্ত সময়। কিন্তু আমরা দেখলাম, পুরো আলোচনাটা প্রায় সীমাবদ্ধ ছিল শুধু এনবিআর বিভাজন প্রসঙ্গে।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে—চলতি বাজেটেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। বছরের পর বছর আমরা এর বিরোধিতা করে আসছি। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনেক সদস্যও অতীতে এই নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

লেখক: নির্বাহী পরিচালক, সানেম





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত