Homeঅর্থনীতিসামিটে সরকারি খরচ দেড় কোটি টাকা, বিনিয়োগ ৩ হাজার ১০০ কোটি: বিডা

সামিটে সরকারি খরচ দেড় কোটি টাকা, বিনিয়োগ ৩ হাজার ১০০ কোটি: বিডা

[ad_1]

সদ্য শেষ হওয়া ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫-এর চার দিনের আয়োজনে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাহিয়ান রহমান।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, সদ্য শেষ হওয়া বিনিয়োগ সামিট থেকে আমাদের উপলব্ধি হচ্ছে যে এরকম সামিট নিয়মিত করা উচিত। সেটি বছরে একবার হতে পারে। তবে আমরা যে আগ্রহ দেখেছি তার জন্য কৃতজ্ঞ। ইতিবাচক ধারণা তৈরি করার মতো এ ধরনের অনুষ্ঠান আমরা ভবিষ্যতে আরও আয়োজনের চেষ্টা করবো। পরবর্তী সরকারের এ রকম উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, সামিট সফল হয়েছে কি হয়নি, এটা সময় বলে দেবে।

এ সময় বিডা’র হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাহিয়ান রহমান বলেন, সামিটের চার দিনে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছে। প্যানেলিস্ট, এক্সপার্টসহ অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ১৩০। চার দিনে অফিসিয়াল মিটিং হয়েছে ১৫০টি। অফিসিয়ালি আমাদের সামিটে বিনিয়োগ ঘোষণা হয়েছে দুটি। একটি হান্ডা ইন্ডাস্ট্রি, আরেকটি শপআপ। এই বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর বাইরে সমঝোতা সই হয়েছে ৬টি। আর এই সামিটে সরকারের পক্ষ থেকে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যা আমাদের প্রথম আনুমানিক খরচের চেয়ে ৪২ শতাংশ কম।

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ হয়েছে আমাদের এই সামিট করতে। ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার পুরো ক্রেডিট এই সামিটকে দেওয়া ঠিক হবে না। এই সামিটের আগে অনেক কাজ করে এই ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা আনা হয়েছে। পৃথিবীর কোনও মানুষ কোনও একটা সামিটে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে হঠাৎ করে একটা ১০০ কোটি টাকার চেক লিখে ফেলে না। যারা কত টাকা বিনিয়োগ হলো তার ওপর নির্ভর করে সামিটের সাফল্য হিসাব করতে চান, তাদের আমার পরামর্শ এটার ওপর নির্ভর করে সাফল্য নিরূপণ করবেন না।

তিনি বলেন, সামিটের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশ নিয়ে মূল যে ধারণা সেটা বদলাতে। বিদেশিরা যখন প্রথম এসে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা ধারণা নিয়ে ফেরত যান, এরপর গুগল ব্যবহার করে একই ধারণা পান না। এখন যারা এসেছেন তারা ফিরে গিয়ে তাদের বন্ধুবান্ধবদের বলবেন যে গুগল করে যা দেখেছি সেটা সত্য না। কারণ প্রথম দুই দিন আমরা তাদের বাংলাদেশ ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। ৯ এপ্রিল আমরা তাদের আমাদের ভিশন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এরপর আমরা বিভিন্ন মিটিং করার সুযোগ দিয়েছি। সেই চারপাশের যে ছবি আমরা দেখানোর চেষ্টা করেছি তার থেকে আমাদের কাছে বিদেশিদের যে ফিডব্যাক হচ্ছে, তারা খুব খুশি হয়েছেন এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত