Homeঅর্থনীতিস্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে নতুন মার্কিন শুল্ক থেকে অব্যাহতি

স্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে নতুন মার্কিন শুল্ক থেকে অব্যাহতি


স্মার্টফোন, কম্পিউটারসহ বেশ কিছু পণ্যকে নতুন পাল্টা শুল্ক থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার রাতে ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানায়। এসব পণ্য ট্রাম্পের ঘোষিত বৈশ্বিক ১০ শতাংশ ও চীনের ওপর আরোপিত ১২৫ শতাংশ শুল্ক থেকে মুক্ত থাকবে।

শুল্কের কারণে ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম হু হু করে বাড়তে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো আশঙ্কা করছিল। কারণ, এসব পণ্যের বেশির ভাগই চীনে তৈরি। এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরেক ধাপ পিছু হটলেন।

শুল্ক অব্যাহতির তালিকায় সেমিকন্ডাক্টর, সোলার সেল, মেমোরি কার্ডসহ আরও কিছু ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ও উপাদান রয়েছে।

বিশ্লেষকদের কেউ কেই বলছিলেন, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের ফলে আইফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম তিন গুণ পর্যন্ত বাড়তে পারত।

আইফোনের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের মতে, গত বছর দেশটিতে স্মার্টফোন বিক্রিতে অর্ধেকের বেশি বাজার দখলে রেখেছিল অ্যাপল।

তাদের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য তৈরি অ্যাপলের আইফোনের প্রায় ৮০ শতাংশ উৎপাদিত হয় চীনে, বাকি ২০ শতাংশ ভারতে তৈরি হয়।

চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে স্যামসাংসহ অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মতো অ্যাপলও সম্প্রতি পণ্য সরবরাহের উৎসে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে। নতুন উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে এগিয়ে এসেছে ভারত ও ভিয়েতনাম।

এদিকে শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর অ্যাপল ভারতে আইফোনের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলে খবর বের হয়। শুল্ক এড়াতে ভারত থেকে ৬০০ টন আইফোন বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার খবর এসেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর উচ্চ হারে যে পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছিলেন ট্রাম্প, সেগুলো এ সপ্তাহে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু বুধবার তিনি হঠাৎ পিছু হটেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত বদলে জানান, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের জবাবে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি, তাদের জন্য শুল্ক আরোপ ৯০ দিন স্থগিত থাকবে। ওই সময়ের জন্য চীন বাদে সবাই কেবল ১০ শতাংশ শুল্কের আওতায় থাকবে।

চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করার কারণ হিসেবে ট্রাম্প বলেন, চীন পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এই পিছু হটাকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও সুবিধাজনক বাণিজ্য চুক্তি আদায়ের কৌশলগত পদক্ষেপ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, আমদানি শুল্কের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার অবিচার দূর করা এবং দেশীয় শিল্প ও কর্মসংস্থান ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত