Homeঅর্থনীতি৯ মাসে প্রস্তাবিত বিদেশি বিনিয়োগ ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার: বিডা

৯ মাসে প্রস্তাবিত বিদেশি বিনিয়োগ ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার: বিডা


গত বছরের অক্টোবর থেকে এই বছরের মার্চ পর্যন্ত নেট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৭৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিডা এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়। বিডা জানায়, বিগত ৯ মাসে বিডা মোট ৭৩৯টি শিল্প প্রকল্প নিবন্ধিত করেছে, তার মধ্যে শতভাগ বিদেশি প্রকল্প রয়েছে ৬৬টি এবং যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে ৬১টি।

বিডা জানায়, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও বিনিয়োগপ্রবণতা বিষয়ে একটি শিল্প সংগঠনের প্রতিনিধির সাম্প্রতিক মন্তব্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কেবল জিটুজি  প্রকল্পে জড়িত এবং গত আট মাসে দেশে নতুন কোনও বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিডা দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কার্যকর সংযোগ স্থাপনে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। পাশাপাশি, তিনি মত প্রকাশ করেন যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাবেন না। এই সকল মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সঠিক ও প্রাসঙ্গিক তথ্য বিডা তুলে ধরছে।

বিডা আরও জানায়, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ১৬টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জমি ইজারা চুক্তি সম্পাদন করেছে, যার মধ্যে শতভাগ বিদেশি প্রকল্প রয়েছে ৬টি এবং যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে ৩টি। এছাড়া বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) মোট ৩১টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইজারা চুক্তি করেছে। সব মিলিয়ে মোট প্রস্তাবিত বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (১২,২২০ কোটি টাকা)।

বিডা জানায়, বিদেশি বিনিয়োগ ধারা সম্বন্ধে এ ধরনের ঢালাও মন্তব্য দুঃখজনক যা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমরা আশা করছি যে বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জনসম্মুখে দেওয়া মন্তব্য সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রদান করা হবে, যাতে করে জনসাধারণ ও ব্যবসায়ী মহলের মধ্যে বিভ্রান্তি বা উদ্বেগ সৃষ্টি না হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিডা’র মূল দায়িত্ব নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা এবং দেশি-বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অর্থবহ সংযোগ সৃষ্টি করে একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ পাইপলাইন গঠন করা। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫-এ নির্দিষ্ট খাতভিত্তিক সেশনের মাধ্যমে বিটুবি নেটওয়ার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়, যা ব্যবসায়ী চেম্বার, ব্যাংক ও বেসরকারি খাতের অন্যান্য অংশীদারদের সক্রিয় সহযোগিতায় আয়োজিত হয়। আগামী সপ্তাহে একটি উচ্চপর্যায়ের চীনা ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের জন্য বস্ত্র, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও ইলেকট্রনিক্স খাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে ১০০টি বিটুবি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত বিনিয়োগ পরিপক্বতা লাভে সময় প্রয়োজন হয়, যা বিনিয়োগ প্রচারের ক্ষেত্রে একটি স্বীকৃত বাস্তবতা।

বিডা জানায়, বিনিয়োগকারীদের সহায়তা প্রদান বিডার কার্যক্রমের অন্যতম প্রধান ভিত্তি, এবং আমরা শিল্প নেতাদের সাথে যৌথভাবে জ্ঞান, দক্ষতা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উচ্চমানের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করছি।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত